উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে এক মন্দিরের নামফলক ভাঙবার অভিযোগে বজরং দলের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করলো উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। যদিও পরে ওই ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি তিনি এক মন্দিরের নামফলক ভেঙে দেন। ওই মন্দিরে এই ওয়াটার কুলার দান করেছিলেন সমাজবাদী পার্টির নেতা সালমান শাহিদ।
জানা গেছে, আলিগড়ের ওই মন্দিরে এক মুসলিম ব্যক্তি একটি ওয়াটার কুলার দান করেছিলেন এবং তার ভিত্তিতে মন্দিরের গায়ে একটি নামফলক বসানো হয়েছিলো। এরপরেই দীপক রাজপুত নামক বজরং দলের ওই সদস্য দলবল নিয়ে মন্দিরে এসে ওই নামফলক ভেঙে দেন। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করলেও দক্ষিণপন্থী এই সংগঠনের সদস্যদের বিক্ষোভের জেরে পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এই প্রসঙ্গে লোধা পুলিশ স্টেশনের ইনচার্জ গজরাজ সিং জানিয়েছেন, দীপক রাজপুতকে ভারতীয় দন্ডবিধির ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো এবং পরে তাঁকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়।
বজরং দলের স্থানীয় আহ্বায়ক গৌরব শর্মা এই প্রসঙ্গে জানান, মন্দিরে কোনো মুসলিমের নামে নামফলক বসানোর কোনো প্রয়োজন ছিলো না। এটা একটা চক্রান্ত। যদিও এই ঘটনার পরেই মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। যেখানে বলা হয় খেড়েশ্বর মহাদেব মন্দিরে কিছু দুষ্কৃতী এসে ভাঙচুর চালায়। মন্দির কমিটির প্রধান সত্যপাল সিং এই ঘটনার তদন্ত দাবি করেছেন।
এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বিজেপি সাংসদ সতীশ গৌতম জানিয়েছেন এভাবে মন্দিরের মধ্যে মুসলিম নেতার নামে নামফলক লাগানোয় হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে। এই সবই করা হয়েছে আগামী নির্বাচনকে মাথায় রেখে।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ জুন মন্দির কমিটির সঙ্গে আলোচনার পর মন্দিরে ওই ওয়াটার কুলার দান করেন সমাজবাদী পার্টির স্থানীয় নেতা সালমান শাহিদ। মন্দির কমিটির প্রধান সত্যপাল সিং জানিয়েছেন, মন্দিরে নামফলক বসানোতে আমাদের কোনো আপত্তি ছিলো না। কিন্তু এই ধরণের ঘটনা ঘটার পরে আমরা ওনার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি এবং ওয়াটার কুলার ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
- with IANS input
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন