এলাকায় নিন্ম-মানের সামগ্রী দিয়ে সরকারি প্রকল্পের কাজ চলছে। তা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় এক আরটিআই কর্মীকে (RTI activist) পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh)।
সম্প্রতি, আলিগড় জেলায় সরকারি প্রকল্পে ব্যবহৃত সামগ্রীর গুণমান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন দেবজিৎ সিং (Devjeet Singh) নামে এক আরটিআই (RTI) কর্মী। এই ‘অপরাধে’ তাঁকে পিটিয়ে খুন করে গোরাই গ্রামের প্রধান, তাঁর ছেলে সহ মোট আটজন ব্যক্তি।
পুলিশের কাছে নিহতের পরিবার জানিয়েছে, ইগ্লাস পুলিশ সার্কেলের (Iglas police circle) অন্তর্গত গোরাই গ্রামের বাসিন্দা দেবজিৎ সিং। বয়স ৩২। তাঁর ভাইকে সঙ্গে নিয়ে খামারে (Farm) কাজ করার সময় অতর্কিত তাঁদের ওপর হামলা চালায় গ্রামের প্রধান ও তাঁর সহযোগীরা। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান দেবজিৎ। তাঁর ভাইয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে আলিগড়ের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ রাঘবেন্দ্র সিং (Raghvendra Singh) বলেন, ‘গ্রামের প্রধান দেবেন্দ্র সিং (Devendra Singh), তাঁর ছেলে কার্তিক এবং আরও ছয়জনের বিরুদ্ধে একটি FIR দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুন), ১৪৭ (দাঙ্গা), ৫০৬ (ভীতি প্রদর্শন) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বর্তমানে অভিযুক্তরা পলাতক। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
নিহত দেবজিতের বাবা মহেন্দ্র সিং (Mahendra Singh) জানান, ‘গ্রামের প্রধানের মাধ্যমে উন্নয়ন কাজের গুণমান সম্পর্কে তথ্য চেয়ে গত দু’মাস আগে একটি RTI করেছিল আমার ছেলে। গ্রামে নির্মাণকাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার বিরুদ্ধে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিক অভিযোগ জানিয়েছিল সে এবং উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছিল। তারপর থেকে আমরা প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছি। দেবেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার জন্য গত মাসে পুলিশের কাছে গিয়েছিলাম আমরা। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’
নিহতের কাকা রামভীর সিং (Ramvir Singh) বলেন, ‘গ্রামের প্রধান এবং তার আত্মীয়রা আমার ভাইপোকে লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে নির্মমভাবে আক্রমণ করে। হামলার কথা শুনে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। দেবজিতের মাথায় গুরুতর আঘাত ছিল। জওহরলাল নেহেরু মেডিক্যাল কলেজে যাওয়ার পথে সে মারা যায়। তার ছোট ভাই সুরেন্দ্রের (Surendra) অবস্থা আশঙ্কাজনক। সে এখনও একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বাবাকে কৃষিকাজে (agricultural activities) সহযোগিতা করার পাশাপাশি গ্রামে একটি কম্পিউটার সেন্টার চালাতেন দেবজিৎ। তাঁর স্ত্রী ও দুই নাবালক সন্তান আছে।
- with inputs from IANS
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন