পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের স্মৃতি ফিরে এলো উত্তরপ্রদেশ পঞ্চায়েত নির্বাচনে। নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হলো রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। লখিমপুর খেরীতে সমাজবাদী পার্টির এক মহিলা কর্মীকে চূড়ান্ত হেনস্থা করে তাঁর শাড়ি খুলে নিল বিপক্ষের দুই পুরুষ কর্মী। পশ্চিমবঙ্গে ২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বে এভাবেই বাম মহিলা কর্মীর শাড়ি ধরে টানাটানি, নিগ্রহের খবর প্রকাশ্যে এসেছিলো।
ওই মহিলা ব্লক পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা এক সমাজবাদী পার্টির প্রার্থীর প্রস্তাবক বলে জানা গেছে। তাঁর অভিযোগ, মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার জন্য মনোনয়ন কেন্দ্রে ঢোকার সময় তাঁকে আটকায় বিপক্ষের কর্মীরা। তাঁর কাছ থেকে মনোনয়ন পত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। মহিলা তা দিতে অস্বীকার করায় তাঁর শাড়ি খুলে নেয় তাঁরা।
এই ঘটনা ঘটার সময় কোনো একজন তা মোবাইলে রেকর্ড করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেন, যা এই মুহূর্তে ভাইরাল।
সমাজবাদী পার্টির প্রধান নিজের ট্যুইটারে এই ভিডিও শেয়ার করেছেন। তাঁর অভিযোগ, আক্রমণকারীরা বিজেপি-র কর্মী। তাদের "ক্ষমতালোভী যোগী আদিত্যনাথের (মুখ্যমন্ত্রী) গুন্ডা" বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
শনিবার অনুষ্ঠিত হবে ৮২৫টি ব্লক প্রমুখ বা পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচন। গতকাল সেই নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। বেশিরভাগ জায়গাতেই বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী নিজের ট্যুইটারে একটি সংঘর্ষের ভিডিও পোস্ট করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও যোগী আদিত্যনাথকে আক্রমণ করে লিখেছেন, "প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী, আপনাদের কর্মীদের অভিনন্দন জানান। তাঁরা অনেক জায়গায় বোমা, গুলি, পাথর ছুঁড়েছে, অনেক ব্যক্তির মনোনয়ন কেড়েছে, সাংবাদিকদের মেরেছে, মহিলাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে। আইনব্যবস্থার চোখে কাপড় বাঁধা রয়েছে এবং গণতন্ত্রের চরিত্রহনন করা হচ্ছে।"
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের পক্ষ থেকেও সুরক্ষা ব্যবস্থায় গাফিলতি ছিল বলে কার্যত স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ অফিসার প্রশান্ত কুমার জানিয়েছেন, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল কিন্তু ১৪টির বেশি জায়গায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। যাঁরা এই ঘটনায় জড়িত তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এই পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রতিটি দলের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন