২০১৯ সালে মইনপুরীতে এক স্কুল ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যুর তদন্তকারী বিশেষ তদন্ত দল (SIT) উত্তরপ্রদেশের এক মন্ত্রীর ছেলের নারকো টেস্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মইনপুরীর বিশেষ আদালত (পকসো) বৃহস্পতিবার এই পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে নারকো টেস্ট করা হবে।
২০১৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর মইনপুরীর এক স্কুলে একাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ক্যাম্পাসে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। নিহত ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয় এবং মামলায় আত্মহত্যার প্ররোচনা প্রাসঙ্গিক ধারা যুক্ত করা হয়।
তৎকালীন অধ্যক্ষ, হোস্টেলের ওয়ার্ডেন এবং দুই ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিলো। তৎকালীন অধ্যক্ষ সুষমা সাগরকে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে গ্রেপ্তার করে মইনপুরীর একটি আদালতে পেশ করা হয় এবং জেলে পাঠানো হয়।
বৃহস্পতিবার, মইনপুরীর বিশেষ আদালত (পকসো) এসআইটি আবেদনের পর নারকো টেস্টের অনুমতি দিয়েছে। আদালতের নির্দেশের পর উত্তরপ্রদেশের ক্যাবিনেট মন্ত্রী এবং ভানগাঁও (মইনপুরী) কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক রাম নরেশ অগ্নিহোত্রীর ছেলে অঙ্কুর অগ্নিহোত্রীর নারকো পরীক্ষা করা হবে। এর আগে আরও ৫০০ জনের সাথে অঙ্কুর অগ্নিহোত্রীর ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়েছিল।
এলাহাবাদ হাইকোর্ট, গত বছরের সেপ্টেম্বরে, এই মামলার বিষয়ে কঠোর দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েছে। এরপরেই আগে গঠিত তিন সদস্যের SIT-এর তদন্ত নিষ্পত্তিহীন থেকে যাওয়ায় দ্বিতীয়বার SIT গঠিত হয়।
হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণের পর উত্তরপ্রদেশ সরকার তিন পুলিশ অফিসারকে বরখাস্ত করে। SIT যে স্কুলে ছাত্রীকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল সেখানে গিয়ে প্রথম তদন্তের রিপোর্ট, ময়না তদন্তের রিপোর্ট, ডিএনএ টেস্ট এবং ফরেনসিক ফাইন্ডিং এবং মামলার পলিগ্রাফ টেস্ট পরীক্ষা করে দেখে।
মন্ত্রী রাম নরেশ অগ্নিহোত্রীর সাথে এই বিষয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। যদিও তাঁর ছেলে অঙ্কুর অগ্নিহোত্রী জানিয়েছেন তিনি সমস্ত পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত এবং তিনি নারকো টেস্টের জন্যও যাবেন। কারণ তার কাছে লুকানোর কিছু নেই।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন