উত্তরপ্রদেশে ব্লক প্রমুখ নির্বাচনের মনোনয়ন ঘিরে ধুন্ধুমার। বৃহস্পতিবার রাজ্যের সিদ্ধার্থনগর, সীতাপুর, গোরক্ষপুর, সম্ভল প্রভৃতি জেলা থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে বড়োসড়ো গণ্ডগোলের খবর পাওয়া গেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
সিদ্ধার্থনগরে রাজ্য বিধানসভার প্রাক্তন স্পীকার মাতা প্রসাদ পান্ডেকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয়েছে। সীতাপুরে তিন ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ওই অঞ্চলের কমলপুরে মুন্নি দেবী নামক এক নির্দল প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে এলে গণ্ডগোল বাধে। মুন্নি দেবীকে মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া হয়। এরপরেই কিছু অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি সেখানে গুলি চালায়। প্রতিবাদে মুন্নি দেবীর সমর্থকরা পথ অবরোধ করে।
প্রায় একই ধরণের ঘটনা ঘটে আম্বেদকর নগরে। যেখানে বিএসপি-র প্রাক্তন মন্ত্রী লালজী ভারমার কাছ থেকে মনোনয়ন ছিনিয়ে নেবার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোল বেধে যায়। বিএসপি নেতা ভারমা অভিযোগ করেন, বিজেপি নেতা তেজস্বী জয়সোয়াল তাঁর মনোনয়ন ছিনিয়ে নিয়েছেন।
কনৌজে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিজেপি এবং সমাজবাদী পার্টির প্রার্থীদের মধ্যে গণ্ডগোল বেধে যায়। সমাজবাদী পার্টির নেতারা অভিযোগ করেন তাঁদের মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি। এখানেই এক সাংবাদিককে ধরে বেধড়ক মারধোর করে কিছু দুষ্কৃতী।
ফতেপুরে পুলিশের উপস্থিতিতেই মনোনয়ন পত্র ছিঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়। সাংবাদিকদের আটকে রাখা হয়।
সমাজবাদী পার্টির এমএলসি সুনীল কুমার সাজন জানান, উন্নাওতে পুলিশ প্রকাশ্যে বিজেপি প্রার্থীদের হয়ে মনোনয়ন জমা দেবার কাজ করছে। তাঁর আরও অভিযোগ রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিকল্পিতভাবে বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দেওয়া আটকাতে এই ধরণের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করি। গণতন্ত্রে এই ধরণের ঘটনা প্রত্যাশিত নয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন