ঘটনার পর ৪ দিন কেটে গেলেও এখনও উদ্ধার করা যায়নি উত্তরাখন্ডের সুড়ঙ্গে আটকে পড়া প্রায় ৪০জন শ্রমিককে। ড্রিলিং মেশিনে কিছু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তাদের উদ্ধারকাজ আপাতত বন্ধ রয়েছে।
উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি এবং আধিকারিকদের সূত্রে দাবি করা হয়েছে আটকে পড়া শ্রমিকরা সুস্থ আছেন এবং পাইপের মাধ্যমে তাদের কাছে অক্সিজেন, ওষুধ, জল ও খাবারের প্যাকেট পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। আটক শ্রমিকদের জন্য আলোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে। গত রবিবার সকালে আচমকাই ধস নেমে আটকে পড়েন ৪০ জন কর্মরত শ্রমিক।
সুড়ঙ্গের ভেতর আটকে পড়া শ্রমিকদের মধ্যে ১৫ জন ঝাড়খন্ডের, উত্তরপ্রদেশের ৮ জন, ওড়িশার ৫ জন, বিহারের ৪ জন এবং পশ্চিমবঙ্গের ৩ জন আছেন। এছাড়াও উত্তরাখণ্ড এবং আসামের ২ জন এবং হিমাচল প্রদেশের ১ জন করে শ্রমিক ওই ধ্বংসস্তূপে আটকে আছেন।
২০১৬ সালে শুরু হওয়া ১২ হাজার কোটি টাকার চারধাম অল ওয়েদার প্রোজেক্ট-এর অন্তর্গত এই রাস্তায় এক সুড়ঙ্গ তৈরির সময় রবিবার আচমকাই ধস নামে। সিলকারা অঞ্চলের এই সুড়ঙ্গের মুখ থেকে ২৭০ মিটার গভীরে প্রায় ৩০ মিটার অঞ্চল জুড়ে ধস নামে।
জানা গেছে, এই সুড়ঙ্গটি প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার লম্বা এবং এই সুড়ঙ্গ নির্মাণের খরচ ধরা হয়েছে ৮৫৩.৭৯ কোটি টাকা।
উদ্ধারকাজের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের সূত্রে জানা গেছে মঙ্গলবার রাতে ধ্বংসস্তূপ সরানোর সময় আবারও নতুন করে সুড়ঙ্গের একটি অংশে ধস নেমে ড্রিলিং মেশিন ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং যে ঘটনায় দুই শ্রমিক আহত হন। তাদের স্থানীয় অস্থায়ী হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। মঙ্গলবারের ধসে সুড়ঙ্গের ভেতর পাইপ বসিয়ে আটকে পড়া শ্রমিকদের বাইরে আনার জন্য যে পথ তৈরি করা হচ্ছিল সেই কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে।
বর্তমানে সুড়ঙ্গের ভেতর ড্রিলিং মেশিন বসানোর জন্য নতুন করে প্ল্যাটফর্ম তৈরির কাজ করা হচ্ছে। সুড়ঙ্গের ভেতরে থাকা ড্রিলিং মেশিন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উদ্ধারকাজে গতি আনতে দিল্লি থেকে বিমানে করে আরও কিছু মেশিন আনা হয়েছে। বুধবার একথা জানিয়েছেন স্থানীয় পুলিশ কন্ট্রোল রুমের আধিকারিক সঞ্জিত উনিয়াল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন