১৫০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে উত্তারাখণ্ডের ভাঙা সুড়ঙ্গে আটকে রয়েছেন ৪০ জন শ্রমিক। শুক্রবার বিকেলে সুড়ঙ্গের মুখে আটকে থাকা পাথর সরানোর সময় ভেতরে জোরে ফাটল ধরার শব্দ হয়। এবং ড্রিলিং মেশিনেও সমস্যা দেখা দেয়। তারপর থেকে উদ্ধারকাজ বন্ধ রেখেছেন উদ্ধারকারীরা।
তবে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে দ্বিতীয় একটি ভারী ড্রিল মেশিন আনা হয়েছে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর থেকে এবং শীঘ্রই উদ্ধারকাজ শুরু হবে।
পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পিএমওর ডেপুটি সেক্রেটারি মঙ্গেশ ঘিলদিয়াল ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
রবিবার ভোররাত থেকে উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলায় ব্রহ্মকাল-যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের উপর সিল্কিয়ারা থেকে ডন্ডালগাঁও পর্যন্ত নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গের মধ্যে আটকে রয়েছেন ৪০ জন শ্রমিক। শ্রমিকদের পরিবার ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। তাঁরা ক্রমশ আশা হারিয়ে ফেলছেন। এক শ্রমিকের ভাই জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ার আগেই শ্রমিকদের দ্রুত উদ্ধার করা দরকার।
তবে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সমস্ত শ্রমিক নিরাপদে রয়েছেন। পাথরের গর্ত দিয়ে স্টিলের পাইপের মাধ্যমে খাবার ও জল সরবরাহ করা হচ্ছে। শ্রমিকদের মনোবল বজায় রাখতে তাঁদের সাথে নিয়মিত কথা বলাও হচ্ছে।
শুক্রবার অগার মেশিনটি টানেলের ভিতরে ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে 2২৪ মিটার পর্যন্ত ড্রিল করেছিল। NHIDCL-এর শুক্রবার গভীর রাতে করা একটি বিবৃতি অনুযায়ী, সুড়ঙ্গের মধ্য দিয়ে ৫ নম্বর পাইপটি ঢোকানোর সময় জোরে ফাটল ধরার শব্দ শোনা গিয়েছে। এরপরই উদ্ধার অভিযান বন্ধ করে দেওয়া হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন