দু'সপ্তাহ হয়ে গেল, এখনও উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে আটকে থাকা ৪১ জন শ্রমিককে উদ্ধার করতে পারেনি প্রশাসন। বার বার পাথর কাটা 'অগার' মেশিনের পিন ভেঙে যাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। অত্যাধুনিক যন্ত্রের বদলে শাবল-গাঁইতিই ভরসা এখন উদ্ধারকারীদের। তাই দিয়েই পাথর কাটছে তারা।
গত ১৪ দিন ধরে দেশবাসীর নজর উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গের দিকে। উৎকণ্ঠার সাথে সকলে অপেক্ষা করছে। কিন্তু প্রশাসন সূত্রে খবর এখনই উদ্ধার করা সম্ভব নয়। শাবল এবং গাঁইতি দিয়েই পাথর কাটা সম্ভব বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। বাকি অংশের মধ্যে ধাতব পদার্থ না থাকায় মানুষ দ্বারাই পাথর কাটা যাবে।
এখনও পর্যন্ত ৪৬ মিটারের বেশি পাথর কাটার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আর মাত্র ৫-৭ মিটার অংশ কাটা বাকি আছে। কাটার পর পাইপ ঢোকানো হবে। সেই পাইপ দিয়েই বেরিয়ে আসবেন ধসে পড়া সুড়ঙ্গে আটক থাকা ৪১ জন শ্রমিক, যার মধ্যে বাংলারও তিনজন রয়েছেন। শ্রমিকদের সুস্থ রাখার জন্য ৬ ইঞ্চি পাইপলাইন দিয়ে গরম খাবার ও জল সরবরাহ করা হচ্ছে। অন্য একটি পাইপের মাধ্যমে অক্সিজেন প্রদান করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় ওষুধও সরবরাহ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই পাইপের মাধ্যমে ক্যামেরা পাঠিয়ে শ্রমিকদের বর্তমান অবস্থা দেখেছে উদ্ধারকারীরা। বাড়ির লোকদের সাথেও শ্রমিকদের কথা বলানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১২ নভেম্বর ভোর সাড়ে ৫টার নাগাদ উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলায় ব্রহ্মকাল-যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের উপর সিল্কিয়ারা থেকে ডন্ডালগাঁও পর্যন্ত নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গের একাংশ হঠাৎই ভেঙে পড়ে। সুড়ঙ্গের প্রায় ২৬০ মিটার গভীরে আটকে পড়েন ৪১ জন শ্রমিক। তারপর তাঁদের উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জাতীয় ও উত্তরাখণ্ডের রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, ইন্দো-টিবেটান পুলিশ, বর্ডার রোডওয়েজ বাহিনী। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শ্রমিকদের উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন