Uttarakhand: ৯৬ ঘণ্টা পার, সুড়ঙ্গে আটকে শ্রমিকদের উদ্ধারের জন্য আনা হল অত্যাধুনিক ‘অগার’ মেশিন

People's Reporter: আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারের জন্য ‘যথেষ্ট’ চেষ্টা করা হচ্ছে না বলে বুধবার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সুড়ঙ্গের বাইরেই আন্দোলন শুরু করে অন্যান্য শ্রমিকরা।
ছবি সংগৃহীত
ছবি সংগৃহীত
Published on

৯৬ ঘন্টা পেরিয়ে গিয়েছে, এখনও উদ্ধার করা যায়নি উত্তরকাশীতে ভেঙে পড়া সুড়ঙ্গের মধ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের। শ্রমিকদের দ্রুত বের করে আনতে নয়াদিল্লি থেকে ঘটনাস্থলে আনা হয়েছে অত্যাধুনিক খননযন্ত্র 'আমেরিকান অগার'। কিন্তু আগের রাতে সেখানে ফের নতুন করে ধস নামায় ওই যন্ত্র ব্যবহার করা যায়নি।

এদিকে, আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারের জন্য ‘যথেষ্ট’ চেষ্টা করা হচ্ছে না বলে বুধবার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সুড়ঙ্গের বাইরেই আন্দোলন শুরু করেন অন্যান্য শ্রমিকরা। তবে আটকে পড়া শ্রমিকদের দ্রুত ও সুস্থ-স্বাভাবিক অবস্থায় বের করে আনতে সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর।

রবিবার ভোররাতে সাড়ে ৫টার নাগাদ উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলায় ব্রহ্মকাল-যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের উপর সিল্কিয়ারা থেকে ডন্ডালগাঁও পর্যন্ত নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গের একাংশ হঠাৎই ভেঙে পড়ে। সুড়ঙ্গের প্রায় ২৬০ মিটার গভীরে আটকে পড়েন ৪০ জন শ্রমিক। তারপর তাঁদের উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জাতীয় ও উত্তরাখণ্ডের রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, ইন্দো-টিবেটান পুলিশ, বর্ডার রোডওয়েজ বাহিনী। ১৫০-এরও বেশি উদ্ধারকারী এই মুহূর্তে শ্রমিকদের উদ্ধারের কাজে রয়েছেন।

বুধবারের মধ্যে কাজ শেষ করে শ্রমিকদের বের করে আনা যাবে বলে মনে করা হলেও ঘটনাস্থলে বারবার ধস নামতে থাকায় তা সম্ভব হয়নি। এদিকে সুড়ঙ্গের নিচে আটকে পড়া শ্রমিকদের সুস্থ রাখতে সবরকম চেষ্টা করছে উদ্ধারকারী দলগুলি। সুড়ঙ্গপথে কোনোমতে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র ও খাবারদাবার ভিতরে সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়াও শ্রমিকদের মানসিক দৃঢ়তা অক্ষুণ্ণ রাখতে তাঁদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। আটকে পড়া শ্রমিকদের সুস্থতা নিশ্চিত করতে সুড়ঙ্গের বাইরে সবসময়ের জন্য রাখা হয়েছে চিকিৎসকও।  

আবার উদ্ধারকাজে গাফিলতির অভিযোগে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন অন্যান্য শ্রমিকরা। তবে এই নিয়ে উত্তরকাশীর জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা আধিকারিক (DDMO) দেবেন্দ্র পটওয়াল জানিয়েছেন, “দিল্লি থেকে আনা হাই-পারফরম্যান্স অগার ড্রিল মেশিনের জন্য ইতিমধ্যেই প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে। খুব শিগগিরি কাজ শুরু করা হবে।”

ন্যাশনাল হাইওয়েজ অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (NHIDCL)-এর প্রধান আনশু মনীশ খালকোর জানিয়েছেন, বারবার ধস নামার কারণে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ।

ছবি সংগৃহীত
UP: আনুগত্য বদলেও ঠাঁই মেলেনি যোগী মন্ত্রীসভায়, ফের শিবির পাল্টানোর ইঙ্গিত ক্ষুব্ধ ওমপ্রকাশ রাজভরের
ছবি সংগৃহীত
Unicef: শুকিয়ে যাচ্ছে জলের উৎস! বিশ্বের প্রায় ৭৪ কোটি শিশুর প্রাণ ঝুঁকিতে, Unicef রিপোর্টে চাঞ্চল্য

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in