১২০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে। এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি উত্তরাখণ্ডে ভাঙা সুড়ঙ্গের মধ্যে আটকে থাকা ৪০ জন শ্রমিককে। শ্রমিকদের মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে তাঁদের আত্মীয়-পরিজনরা।
জাতীয় ও উত্তরাখণ্ডের রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ছাড়াও থাইল্যান্ড থেকে বিশেষ উদ্ধারকারী দলকে আনা হয়েছে। ২০১৮ সালের জুন মাসে থাইল্যান্ডের একটি গুহা বন্যার জলে ভেসে যাওয়ায় আটকে পড়া ১২ জন খুদে ফুটবলার এবং তাদের কোচকে উদ্ধার করেছিল এই দলটি। এছাড়াও নরওয়ে থেকেও একটি উদ্ধারকারী দল আনা হয়েছে। ধ্বংসাবশেষের ৩০ মিটার পর্যন্ত খনন করেছে উদ্ধারকারীরা। আটকে পড়া শ্রমিকদের খাবার ও অক্সিজেন সরবরাহ করার জন্য পাঁচটি পাইপ লাগনো হয়েছে।
শ্রমিকদের উদ্ধারের জন্য বৃহস্পতিবারই 'আমেরিকান অগার' নামের একটি অত্যাধুনিক খননযন্ত্র আনা হয়েছে ঘটনাস্থলে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পরিকল্পনা, এই খননযন্ত্র দিয়ে সুড়ঙ্গের মধ্যে ধসে পড়া পাথরে গর্ত করে তাতে ৩ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি পাইপ ঢোকানো হবে। সেই পাইপ দিয়ে হামাগুড়ি দিয়ে বেরিয়ে আসতে পারবে শ্রমিকরা।
খননযন্ত্রটি ঘণ্টায় ৫ মিটারের বেশি পাথর কাটতে পারে। উদ্ধারকর্মীরা মনে করছেন, ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টার মধ্যে পুরো পাথর কেটে ফেলতে পারবে যন্ত্রটি। ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে খননযন্ত্রটি।
রবিবার ভোররাতে সাড়ে ৫টার নাগাদ উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলায় ব্রহ্মকাল-যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের উপর সিল্কিয়ারা থেকে ডন্ডালগাঁও পর্যন্ত নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গের একাংশ হঠাৎই ভেঙে পড়ে। সুড়ঙ্গের প্রায় ২৬০ মিটার গভীরে আটকে পড়েন ৪০ জন শ্রমিক। এঁদের মধ্যে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের তিন শ্রমিক রয়েছেন। হুগলির দু’জন - জয়দেব প্রামাণিক, সৌভিক পাখিরা এবং কোচবিহারের মনির তালুকদার। বাকিদের মধ্যে ১৫ জন ঝাড়খন্ডের, উত্তরপ্রদেশের ৮ জন, ওড়িশার ৫ জন, বিহারের ৪ জন, উত্তরাখণ্ড এবং আসামের ২ জন এবং হিমাচল প্রদেশের ১ জন করে শ্রমিক ওই ধ্বংসস্তূপে আটকে আছেন।
জানা গেছে, এই সুড়ঙ্গটি প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার লম্বা এবং এই সুড়ঙ্গ নির্মাণের খরচ ধরা হয়েছে ৮৫৩.৭৯ কোটি টাকা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন