বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী সাম্প্রতিক সময়ে বারবার কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরাগভাজন হয়েছেন। যদিও তাতে নিরস্ত করা যায়নি বরুণ গান্ধীকে। এবার কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থনৈতিক নীতির তীব্র সমালোচনা করে সরাসরি আক্রমণ শানালেন এই বিজেপি সাংসদ। বুধবার বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের চূড়ান্ত অব্যবস্থার কারণে এক বড়ো সংখ্যক ছোটো উৎপাদক এবং ছোটো ব্যবসায়ী তাঁদের ব্যবসা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
পিলিভিটের সাংসদ বরুণ গান্ধী সাধারণ মানুষের কাছে করা এক আবেদনে জানিয়েছেন, আমাজন অথবা ওয়ালমার্ট-এর মত সংস্থার বদলে প্রত্যেকে নিজের নিজের অঞ্চলে ছোটো ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জিনিস কিনুন, তাঁদের পাশে দাঁড়ান।
এদিন ট্যুইটারে এক সংবাদ উদ্ধৃত করে গান্ধী জানান, বিশ্বজুড়ে আর্থিক মন্দার সময় এইসব ছোটো উৎপাদক এবং ছোটো ব্যবসায়ীরাই দেশের অর্থনীতিকে ধরে রেখেছেন। দুর্নীতি, মুদ্রাস্ফীতি এবং অর্থনৈতিক নীতির কারণে এই সব ছোটো উৎপাদক এবং ব্যবসায়ী তাঁদের ব্যবসা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। আমাজন, ওয়ালমার্ট-এর বদলে নিজের নিজের অঞ্চলে তাঁদের কাছ থেকে জিনিস কিনুন। তাঁদের পাশে দাঁড়ান। বিশ্বজুড়ে আর্থিক মন্দার সময় এঁরাই দেশের অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে একাধিকবার কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন বরুণ গান্ধী। বিশেষ করে লখিমপুর খেরিতে গাড়ি চাপা দিয়ে কৃষক হত্যার পর তিনি সরব হন। এছাড়াও উত্তরপ্রদেশের টেট দুর্নীতি নিয়েও তিনি যোগী আদিত্যনাথ সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। গত ৫ ডিসেম্বর উত্তরপ্রদেশের লখনৌতে চাকরিপ্রার্থীদের ওপর লাঠিচালনার ঘটনায় তিনি সরব হয়েছেন। যোগী সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলে বরুণ গান্ধী বলেন – যদি শূন্যপদ থাকে তাহলে তাতে নিয়োগ হচ্ছে না কেন?
ওই ঘটনা প্রসঙ্গে এক ভিডিও ট্যুইট করেছিলেন বরুণ গান্ধী। যে ভিডিওতে উত্তরপ্রদেশে চাকরিপ্রার্থীদের ওপর পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে দেখা গেছিলো। ২০১৯ সালে উত্তরপ্রদেশে টেট দুর্নীতির প্রতিবাদে তাঁরা মোমবাতি মিছিল করছিলেন। বরুণ গান্ধী আরও জানান, চাকরিপ্রার্থীদের দাবি শোনার মত কেউ নেই।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে বিজেপি সরকারের বিভিন্ন সমালোচনার পর গত অক্টোবর মাসে বরুণ গান্ধী এবং তাঁর মা মানেকা গান্ধীকে বিজেপির ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
- with Agency Inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন