রাজস্থান বিজেপি, রাজ্য সভাপতি সতীশ পুনিয়ার উপর হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আরও তীব্র করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যদিকে, সতীশ পুনিয়ার বিরোধী গোষ্ঠীর নেত্রী তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়েই। বসুন্ধরা রাজের অভিযোগ, তাঁর ছেলে (রাজস্থানের সাংসদ) দুষ্যন্ত সিংয়ের অফিসে হামলার সময় বিজেপি নীরব ছিল।
মঙ্গলবার, বিজেপি বিধায়করা বিধানসভা অধিবেশন চলাকালীন আলওয়ার ধর্ষণ, REET প্রতারণা ইত্যাদি বিষয়ে কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে চাপ তৈরি করার জন্য একটি বৈঠক ডেকেছিলেন। বৈঠক চলাকালীন, রাজে কোনও বক্তৃতা দেননি, তবে দুষ্যন্ত সিংয়ের অফিসে হামলার সময় দলের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিধানসভা দলের বৈঠকে সতীশ পুনিয়ার গাড়িতে হামলার ঘটনায় ঐক্যবদ্ধভাবে ( একটি পরিবারের মতো) লড়াই করার জন্য আলোচনা চলছিল। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে এই বিষয়ে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন যে কয়েকদিন আগে বারানে দুষ্যন্ত সিংয়ের অফিসেও হামলা হয়েছিল। তিনি বলেন – “সে সময় পারিবারিক ব্যাপারটা কোথায় গিয়েছিল এবং কেন কেউ কিছু বলেনি? দল কেন অবস্থান নেয়নি?” বসুন্ধরা রাজে বৈঠকে কথা বলতেই অস্বীকার করেন।
প্রসঙ্গত, দুষ্যন্ত সিংয়ের অফিসে একদল দলীয় কর্মী আক্রমণ করেছিল। সেই সময়, বসুন্ধরা রাজের শিবির বাদে বাকি নেতারা তেমন তৎপরতা দেখাননি বা তারা অবস্থান বিক্ষোভের ঘোষণাও করেননি। অবশ্য, হামলার বিষয়ে দলীয় কর্মীদের নীরবতায় রাজে ক্ষোভ প্রকাশ করলে দলের সিনিয়র কর্মীরা তাকে বুঝিয়ে বলেন, দুটি বিষয়ই আলাদা।
উল্লেখ্য, রাজস্থানে বিজেপির মূলত দুই গোষ্ঠী। যার একদিকে আছেন রাজ্য বিজেপির প্রধান, আরএসএস-এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত সতীশ পুনিয়া এবং অন্যদিকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া। যাদের মধ্যে বিরোধ অনেক দিনের। সতীশ পুনিয়াকে দলের রাজ্য সভাপতি করার পরেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ান বসুন্ধরা রাজে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন