গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বিজয় রূপানি। তাঁর এই আচমকা পদক্ষেপে হতবাক রাজ্য তথা জাতীয় রাজনীতি। আর এক বছর পরই প্রধানমন্ত্রী মোদীর হোম স্টেট গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচন। মেয়াদ শেষ হওয়ার এক বছর আগেই রূপানির এই ইস্তফা ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে।
রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল আচার্য্য দেবব্রতর কাছে ইস্তফা পত্র জমা দিয়েছেন বিজয় রূপানি। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রাজ্যবাসীর সেবা করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য বিজেপি নেতৃত্বের কাছে কৃতজ্ঞ আমি।
তিনি বলেন, "আমার মতো একজন কর্মীকে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমি আমার পুরো মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী মোদীর নির্দেশনা পেয়েছি। তাঁর নির্দেশনায় গুজরাটের অগ্রগতি নতুন শিখর ছুঁয়েছে। এখন নতুন শক্তি ও নতুন উদ্যম দিয়ে রাজ্যের আরো উন্নয়নের জন্য আমি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।"
তিনি আরো বলেন, "এটা সবাই জানে যে দল হিসেবে বিজেপি, প্রয়োজন অনুসারে সবসময় নিজেকে পরিবর্তিত করছে। এটা আমাদের দলের একটি বিশেষত্ব যে প্রত্যেক কর্মী তাঁর নির্ধারিত কাজটি সম্পূর্ণভাবে সম্পন্ন করেন। আমিও একই শক্তি নিয়ে দলের জন্য কাজ চালিয়ে যাব।"
বিজয় রূপানির পদত্যাগের পর বিজেপির হাতে এখন তিনটি পথ খোলা রয়েছে - এক, নতুন মুখ্যমন্ত্রী নিয়োগ (নতুন মন্ত্রিসভা সহ); দুই, রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন চালু করা; তিন, নির্দিষ্ট সময়ের অনেক আগেই বিধানসভা নির্বাচন করা।
সূত্র মারফত জানা গেছে, এই মুহূর্তে আগাম নির্বাচনের কোনো পরিকল্পনা নেই দলের। রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন চালু হোক তাও চায়না বিজেপি নেতৃত্ব। সেক্ষেত্রে নতুন মুখ্যমন্ত্রী নিয়োগই একমাত্র বিকল্প। জানা গেছে, সদ্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়া মনসুখ মান্ডব্যকে রূপানির স্থলাভিসিক্ত করার পরিকল্পনা নিচ্ছে দল। এক্ষেত্রে দ্বিতীয় সম্ভাবনা হিসেবে উঠে আসছে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী নিতীন প্যাটেলের নাম।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন