কর্ণাটকের বিদর জেলায় রাজ্য সরকার দ্বারা পরিচালিত একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সাহায্যকারী কর্মী হিসেবে একজন দলিত মহিলাকে নিয়োগ করা হয়েছিল। এই কারণে, বিদর জেলার একটি গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা সেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র বয়কট করেছে।
২০২১ সালের জুন মাসে মিলনা বাই জাইপা রানেকে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। এরপর থেকেই হাতিয়ালা গ্রামের উচ্চবর্ণের বাসিন্দারা তাদের সন্তানদের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে। কোভিড-১৯ ভাইরাসের কারণে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ ছিল। তবে গত কয়েকমাস ধরে তাঁরা পুনরায় নিজেদের কাজকর্ম শুরু করেছে।
যে সকল অভিভাবকরা তাঁদের সন্তানদের ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে যেতে বারণ করেছেন তাঁদের দাবি, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কাজে সাহায্যকারী কোনও দলিতকে তাঁরা তাঁদের সন্তানদের স্পর্শ করতে দেবেন না। তবে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের আরও একজন শিক্ষিকা সুমিত্রা বাইও দলিত সম্প্রদায়ের।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে মিলনা বাইয়ের স্বামী জয়পাল রানে বলেন, "আমাদের গ্রামে তিনটি অঙ্গনওয়াড়ি রয়েছে। আমার স্ত্রীকে মেধার ভিত্তিতে (সাধারণ বিভাগ) উচ্চবর্ণে অধ্যুষিত অঞ্চলের স্কুলগুলির একটিতে সাহায্যকারী হওয়ার জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু উচ্চবর্ণের গ্রামবাসীরা আমার স্ত্রীকে অঙ্গনওয়াড়িতে রান্নার কাজ করতে দেয়নি।"
এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর, জেলা কর্তৃপক্ষ এবং মহিলা ও শিশু কল্যাণ দফতরের আধিকারিকরা গ্রামে ছুটে আসেন এবং স্থানীয় গ্রামবাসীদের বোঝানোর জন্য একটি সচেতনতা প্রচার শুরু করেন।
তবে স্থানীয় সূত্রের খবর, অভিভাবকদের কেউই দলিত মহিলাকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কাজে সাহায্যকারি কর্মী হিসেবে মানতে রাজি হয়নি। যার কারণে কর্তৃপক্ষ তাদের সচেতনতামূলক প্রচার আরও জোরদার করার পরিকল্পনা করছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন