"আমরা কেবল চাঁদে পৌঁছতে পেরেছি তাই নয়, এবার আমরা সূর্যেও পৌঁছে যাবো", বৃহস্পতিবার হায়দ্রাবাদে এক অনুষ্ঠানে একথা জানিয়েছেন তেলেঙ্গানার রাজ্যপাল তামিলিসাই সৌন্দরাজান। তাঁর এই মন্তব্যের পরেই নেটদুনিয়ায় শোরগোল পড়ে গেছে।
রাজ্যপালের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে এই পোস্টের উত্তরে জনৈক মীরা আনন্দ বলেছেন, উত্তেজনার বশে মাননীয়া একটু বেশীই বলে ফেলেছেন। জনৈক প্রদীপ লিখেছেন, ওঁকে এখুনি সূর্যে পাঠানো হোক।
এই ট্যুইটের উত্তরে জনৈক মির্জা নুর লিখেছেন, মনে হচ্ছে অমাবস্যার রাত্তিরে আছি। সবকিছু ঘন অন্ধকার।
বুধবার রাখী বন্ধন উপলক্ষে রাজভবনে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, "আমরা চাঁদেও রাখী বন্ধন উদযাপন করতে পারি।"
এদিনের অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল বলেন, "আমরা খুব গর্বিত যে ভারতের সন্তান হিসাবে, আমরা এখন এই পৃথিবীতে, দেশে রাখী বন্ধন উদযাপন করছি, কিন্তু আমরা চাঁদেও রাখী বন্ধন উদযাপন করতে পারি।"
তিনি বলেন, “আমরা চাঁদে অবতরণ করেছি – চন্দ্রযান চাঁদে গেছে। আমরা আমাদের মহাকাশ বিজ্ঞানীদের জন্য খুব গর্বিত। আর এই পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য আমরা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। এখন, আমরা কেবল চাঁদে পৌঁছেছি তাই নয়, আমরা এবার সূর্যেও পৌঁছতে যাচ্ছি, যা আমাদের বিজ্ঞানীদের এক দুর্দান্ত উদ্যোগ।”
এদিন সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এসএফ) আয়োজিত 'সৈনিকদের জন্য রাখি' অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি। রাজ্যপাল তরুণদের দেশের মহাকাশ বিজ্ঞানীদের কাছ থেকে শেখার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, বন্ধন, ভালোবাসা ও স্নেহের কারণেই দেশ চন্দ্রযান-৩ মিশনে সাফল্য অর্জন করতে পেরেছে।
তিনি আরও বলেন, “দেশে অনেক রাজ্য, অনেক ভাষা, অনেক অভ্যাস এবং অনেক সংস্কৃতি আছে, কিন্তু আমাদের গর্ব হল আমরা ঐক্যবদ্ধ। সেই হল বন্ধন রাখী বন্ধন।”
এই অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য হায়দ্রাবাদের একটি এনজিও সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের প্রশংসা করে রাজ্যপাল বলেন, সৈনিকদের কারণেই দেশ নিরাপদ।
এনজিও-র পক্ষ থেকে বলা হয়, এই সংগঠন ভারতীয় সংস্কৃতি এবং নীতি সংরক্ষণ ও প্রচারের প্রচেষ্টা করছে। অনুষ্ঠানে সেনা ও অন্যান্যদের রাখি বেঁধে দেন রাজ্যপাল।
- with inputs from Agency
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন