দিল্লি বনাম পশ্চিমবঙ্গ। ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়কের গাড়ী থেকে টাকা উদ্ধারের তদন্তে গিয়ে দিল্লি পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয়েছে বলে দাবি করেছে পশ্চিমবঙ্গের গোয়েন্দা বিভাগ – সিআইডি। এমনকি, সিআইডির ৪ জনের তদন্তকারী দলকে আটক করেছে দিল্লি পুলিশ, এমন অভিযোগও উঠছে।
বর্তমানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বা অমিত শাহের অধীনে রয়েছে দিল্লি পুলিশ। এবার তাঁদের বিরুদ্ধেই ‘আইনগত দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার’ অভিযোগ এনেছে মমতার পুলিশ।
এক টুইট বার্তায় পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি জানিয়েছে, ‘পাঁচলা থানায় নথিভুক্ত একটি মামলা (Case No- 276/22) কোর্টের নির্দেশে তদন্ত ও অনুসন্ধান চালাতে দিল্লি গিয়েছিল সিআইডি (CID)। কিন্তু, তাঁদের আইনানুগ দায়িত্ব পালন বাধা দিয়েছে দিল্লি পুলিশ (@dcp_দক্ষিণ-পশ্চিম)। এই ঘটনায় @CPDelhi-এর হস্তক্ষেপ অনুরোধ করা হচ্ছে।‘
জানা যাচ্ছে, দিল্লির দক্ষিণ-পশ্চিম ক্যাম্পাস থানায় আটকে রয়েছেন সিআইডি-র ১ জন ইন্সপেক্টর, ২ জন আইএস ও ১ জন এএসআই। জট কাটাতে কলকাতা থেকে দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্য পুলিশের ৩ শীর্ষ কর্তা। এই দলে রয়েছেন ১ জন এডিজি, ২ জন আইজি পদমর্যাদার পুলিশ অফিসার।
অর্থ পাচার মামলায়, দিল্লির এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যাওয়ার পরেই সেখানে দিল্লি পুলিশ গিয়ে বাধা দেয় বলে অভিযোগ করেছে সিআইডি (CID)।
তবে সিআইডির এই অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, সার্চ ওয়ারেন্টে তদন্তকারী অফিসার হিসাবে যার নাম ছিল, সেই অফিসার তদন্ত দলে নেই। অন্য কোনও তদন্তকারী অফিসার এসেছেন। তাও আমরা ওয়ারেন্ট মেনে নিয়েছি।
৩১ জুলাই শনিবার হাওড়ার পাঁচলায় বিপুল টাকাসহ ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ককে আটক করে রাজ্য পুলিশ। ওই তিন কংগ্রেস বিধায়ক সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে এই মামলার তদন্তভার নেয় সিআইডি।
উল্লেখ্য, দিল্লিতে এই ধরনের ঘটনা প্রথম নয়। গত এপ্রিল মাসে, দিল্লি ও পাঞ্জাব পুলিশের মধ্যে একই রকম ঘটনা ঘটেছিল। বিজেপি নেতা তাজিন্দর পাল সিং বাগ্গাকে গ্রেপ্তার করতে দিল্লি গিয়েছিলেন পাঞ্জাব পুলিশ। সেসময়, দিল্লি পুলিশ বাগ্গাকে গ্রেপ্তারিতে বাধা দেয়। দিল্লি পুলিশ দাবি করে, আগে থেকে তাদের কাছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাঠায়নি পাঞ্জাব পুলিশ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন