RG Kar Case: কতজন সিভিক? কীভাবে নিয়োগ হয়? আরজি কর শুনানিতে রাজ্যকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

People's Reporter: জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর‌্‌স ওয়েস্ট বেঙ্গল-এর আইনজীবী প্রশ্ন করেন, আরজি কর কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত যেখানে একজন সিভিক, তারপরও কীভাবে রাজ্য নিরাপত্তার দায়িত্বে সিভিককে রাখছে?
RG Kar Case: কতজন সিভিক? কীভাবে নিয়োগ হয়? আরজি কর শুনানিতে রাজ্যকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের
ছবি - সংগৃহীত
Published on

আরজি কর কাণ্ডের শুনানিতে সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকার। কোথায়, কোন আইনে, কীভাবে, কত সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়োগ হয়? তা রাজ্যের কাছে হলফনামা আকারে জানতে চাইল দেশের শীর্ষ আদালত।

মঙ্গলবার আরজি করে চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। আদালতের সামনে পঞ্চম স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। সিবিআই জানায়, ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায় ছাড়া আরও কেউ এই ঘটনায় যুক্ত কিনা তা নিয়ে তদন্ত চলছে। আরও সময় লাগবে। প্রধান বিচারপতি সিবিআই-কে আরও সময় দিয়েছেন তদন্তের জন্য।

শুনানিতে ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর‌্‌স ওয়েস্ট বেঙ্গল’-এর আইনজীবী করুণা নন্দী আদালতে জানান, রাজ্য সরকারের ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে সিভিক ভলান্টিয়ারকে রাখা হচ্ছে। আরজি কর কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত যেখানে একজন সিভিক ভলান্টিয়ার, তারপরও কীভাবে রাজ্য নিরাপত্তার দায়িত্বে সিভিককে রাখছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।

এরপরই সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। রাজ্যের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, ‘‘সিভিক ভলান্টিয়ারদের কে নিয়োগ করে? কীভাবে নিয়োগ হয় তাঁদের? এখন রাজ্যে কত জন সিভিক ভলান্টিয়ার আছেন? কোন আইনে তাঁদের নিয়োগ করা হয়? সিভিক ভলেন্টিয়ারদের কত এবং কীভাবে বেতন দেওয়া হয়, রাজ্য বাজেটে তাঁদের জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়? শিক্ষাগত যোগ্যতা কতটা? সবকিছু পরবর্তী শুনানিতে হলফনামা আকারে শীর্ষ আদালতে জানাতে হবে রাজ্যকে।"

সেই সঙ্গে স্কুল এবং হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গার নিরাপত্তার দায়িত্বে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগে নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

অন্যদিকে, শুনানিতে জুনিয়র চিকিৎসকরা কাজে যোগদান করেছেন কিনা তাও জানতে চান প্রধান বিচারপতি। জুনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবী জানান, অনশনরত চিকিৎসকরা ছাড়া সকলেই কাজে ফিরেছেন। রাজ্যের তরফ থেকেও এই বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

চিকিৎসকদের নিরাপত্তা বিষয়ে রাজ্য কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানতে চায় শীর্ষ আদালত। রাজ্যের তরফে জানানো হয়, ৩১ অক্টোবরের মধ্যে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের কাজ শেষ যাবে। অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজগুলিতেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২৫ অক্টোবরের মধ্যে অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজগুলির কাজ শেষ হয়ে যাবে।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in