ইউজারদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগে মেটা-মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp)-এর বিরুদ্ধে তদন্তের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর।
গত ৬ মে, ফাওয়াদ দাবিরি নামক এক ব্যক্তি টুইটারে অভিযোগ করেন, ব্যাকগ্রাউন্ডে স্মার্টফোনের মাইক্রোফোন ব্যবহার করছে হোয়াটসঅ্যাপ। এর স্বপক্ষে তিনি একটি স্ক্রিনশটও শেয়ার করেন। যেখানে অ্যাপে মাইক্রোফোনের ইউসেজ ডেটা তুলে ধরেন তিনি।
সেই পোষ্ট তুলে ধরে টুইটারে বুধবার, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর জানান, ‘এটি একটি অগ্রহণযোগ্য এবং গোপনীয়তার লঙ্ঘনের ঘটনা।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, ‘আমরা অবিলম্বে এই বিষয়টি পরীক্ষা করব। দরকার হলে, নতুন ডিজিটাল ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা বিল (#DPDP) অনুযায়ী এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
এদিকে, ফাওয়াদ দাবিরি অভিযোগের প্রতিক্রিয়ার মঙ্গলবার একটি বিবৃতি জারি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ‘এই সমস্যাটি সম্ভবত- ইউজারের ফোনের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের একটি বাগ বা যান্ত্রিক ত্রুটি হতে পারে।’
মেটা-মালিকানাধীন প্ল্যাটফর্ম জানিয়েছে, ‘ইউজারদের মাইক্রোফোন সেটিংসের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। অনুমতি দেওয়ার পরে হোয়াটসঅ্যাপ তখনই মাইক্রোফোন অ্যাক্সেস করে, যখন কোনো ইউজার ভয়েস কল, ভয়েস নোট বা ভিডিও রেকর্ড করে। এবং তারপরও এই কল এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন দ্বারা সুরক্ষিত থাকে, যাতে হোয়াটসঅ্যাপ এই কল শুনতে না পারে।‘
জানা যাচ্ছে, ভারতে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন হোয়াটসঅ্যাপ ইউজার রয়েছেন।
গত কয়েক দিনে তাঁদের অনেকের কাছেই আন্তর্জাতিক স্প্যাম কল এসেছে। যে কল গুলি এসেছে, তা শুরু হয়েছে +২৫১ (ইথিওপিয়া), +৬২ (ইন্দোনেশিয়া), +২৫৪ (কেনিয়া), +৮৪ (ভিয়েতনাম) নাম্বার দিয়ে। আর, এই ঘটনায় অনেকেই বিভ্রান্ত হয়েছে। আতঙ্ক দেখা দিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের মধ্যে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন