হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট বিতর্কে রিপাবলিক টিভির সাংবাদিক অর্ণব গোস্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলো কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়া (NSUI)। দেশের সাথে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগে মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুর জেলায় অর্ণব গোস্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন NSUI-এর ন্যাশনাল সেক্রেটারি রোশন লাল বিট্টু। NSUI-এর প্রশ্ন, পুলওয়ামা হামলার পরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সংক্রান্ত সরকারের অত্যন্ত গোপন পরিকল্পনা আগেভাগেই অর্ণব গোস্বামী জানলেন কীভাবে?
অভিযোগে বলা হয়েছে, "২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বালাকোটে আক্রমণ করার আগেই কোনো একটি গোপন সূত্র মারফত সেই ঘটনা সম্পর্কে অবহিত ছিলেন অর্ণব গোস্বামী। নিজের টিভি চ্যানেলের টিআরপি বাড়ানোর জন্য দেশের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন উনি এবং সরকারের সমস্ত গোপন তথ্য ফাঁস করে দিয়েছেন।"
টিআরপি দুর্নীতি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে অর্ণব গোস্বামীর সঙ্গে BARC-এর প্রাক্তন সিইও পার্থ দাশগুপ্তের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের সন্ধান পায় মুম্বাই পুলিশ। ৫০০ পাতার এই চ্যাটের স্ক্রিনশট এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। চ্যাটে অর্ণব দাবি করছেন, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর (পিএমও), তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রক, এনএসএ এবং অজ্ঞাত কোনও 'এএস'-এর সঙ্গে তাঁর এত ঘনিষ্ঠতা রয়েছে যে, সরকারি অনেক গোপন তথ্যই তিনি আগেভাগে জানতে পারেন। তা সে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বদলই হোক, বা পিএমও থেকে নৃপেন্দ্র মিশ্রের অপসারণ হোক বা বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকই হোক।
ওই স্ক্রিনশটে আরও দেখা যায়, অর্ণব তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরকে 'অপদার্থ' বলেছেন এবং জানিয়েছেন, স্মৃতি ইরানি ওই পদে থাকলে তাঁর সুবিধা হত। ব্যবসায়িক ফায়দার জন্য 'এএস'-এর সঙ্গে সম্পর্কের অপব্যহার করা, বিএআরসি থেকে ব্যবসায়িক প্রতিযোগীদের তথ্য জোগাড় করা, অন্য চ্যানেলের বিরুদ্ধে ছক কষার প্রসঙ্গও রয়েছে চ্যাটে।
অর্ণব গোস্বামীর এই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি তুলেছেন বিরোধী দলের নেতারা। তাঁদের অভিযোগ, যদি এই ঘটনা সত্য হয় তাহলে বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের সঙ্গে ২০১৯ সালের লোকসভার কোনো সম্পর্ক আছে, এটা সেই দিকেই ইঙ্গিত করে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন