যোগান কম এবং অতিরিক্ত চাহিদার কারণে গমের দাম কুইন্টাল প্রতি রেকর্ড ২,৫০০ টাকা ছাড়িয়েছে। দিল্লির ব্যবসায়ীদের মতে, তাপপ্রবাহের কারণে এ বছর গমের উৎপাদন কম হয়েছে, যা কৃষিজাত পণ্যের অভ্যন্তরীণ সরবরাহকে প্রভাবিত করেছে।
দিল্লি লরেন্স রোড মান্ডির জয়প্রকাশ জিন্দাল জানান, গত কয়েকদিন থেকে প্রতিদিনই দাম বাড়ছে। তিনি আরও জানান, "আজও দর ৩০ টাকা বেড়েছে এবং এখন এখানে দাম প্রতি কুইন্টাল ২,৫৫০ টাকা। হরিয়ানায়, প্রতি কুইন্টাল গমের দাম ২,৪০০ টাকা, যেখানে রাজস্থানে দাম প্রতি কুইন্টাল ২,৩৭০ টাকা।"
১৪ মে, ২০২২-এ গম রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পর থেকে মান্ডির দাম প্রতি কুইন্টাল ২,১৫০ থেকে ২,১৭৫ টাকার কাছাকাছি ছিল। জিন্দাল বলেন, এ বছর উৎপাদন কম হয়েছে এবং সরকার সঠিক সময়ে রপ্তানি বন্ধ করেনি।
তাঁর মতে, "সরকার যখন গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ততক্ষণে প্রচুর গম রপ্তানি করা হয়ে গেছিল। যা আরও আগেই করা উচিত ছিল।" অক্টোবর এবং নভেম্বর মাসে আসন্ন উত্সবের সময় চাহিদা মেটাতে গম আমদানির প্রয়োজন হবে।
সরকারি তথ্য অনুসারে, গত কয়েক বছরে গম রপ্তানি বেড়েছে। ২০২১-২২ সালে ২,১২৫.৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের গম রপ্তানি করা হয়েছিল। ২০২২-২৩ এর প্রথম চার মাসে (এপ্রিল-জুলাই), ১,১৯০ মিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের গম রপ্তানি হয়েছে।
দাম বৃদ্ধির বিভিন্ন কারণের মধ্যে আন্তর্জাতিক চাহিদা-সরবরাহ পরিস্থিতি, বিশ্ব বাজারে পণ্যের দাম বৃদ্ধি এবং ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মতো প্রধান গম রপ্তানিকারক দেশগুলির মধ্যে দ্বন্দ্ব ইত্যাদির মতো বিভিন্ন কারণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
সরকারী সূত্র অনুসারে, গমের দাম ক্রমবর্ধমান দাম এবং চাহিদা নিয়ন্ত্রণ করতে কেন্দ্র কয়েকটি উদ্যোগ নিতে পারে। জানা যাচ্ছে গমের উপর ৪০ শতাংশ আমদানি শুল্ক বাতিল করা হতে পারে। এছাড়াও, গমের উপর স্টক হোল্ডিং সীমা আরোপ করতে পারে এবং মজুতদার ও ব্যবসায়ীদের হাতে গমের মজুদ প্রকাশ করার নির্দেশ দিতে পারে।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ব্যবসায়ীদের দ্বারা গম বেশি কেনার কারণে গম সংগ্রহ কমে গেছে। কারণ বর্তমান আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন