কোভিড প্রতিরোধে ইমিউনিটি বাড়াবে পতঞ্জলির ওষুধ করোনিল। এমনটাই দাবি ছিল যোগগুরু রামদেবের কোম্পানি পতঞ্জলির। কিন্তু এর কার্যকারিতা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন এবং পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়করির উপস্থিতিতে ওষুধটি বাজারে প্রকাশ করা হলেও হু’র দাবি এই ওষুধে অনুমোদন দেয়নি তারা। ১৯ ফেব্রুয়ারি ওষুধ বাজারে প্রথম প্রমাণভিত্তিক ওষুধ হিসাবে তুলে ধরা হয় করোনিলকে।
অনুষ্ঠানের মঞ্চে হোর্ডিংয়ে লেখা ছিল, এই ওষুধ সিওপিপি এবং ডাব্লুএইচও জিএমপি অনুমোদিত। অর্থাৎ এর ফার্মাসিউটিক্যাল প্রোডাক্টের (সিওপিপি) সার্টফিকেট আছে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গুড ম্যানুফ্যাকচারিং অনুশীলন (জিএমপি) দ্বারা স্বীকৃত। যেকোনও ওষুধের ক্ষেত্রে এই দুটি বিষয়ই বিচার্য হয়। তবে হু টুইট করে জানিয়েছে, তারা কোনও ট্রাডিশনাল ওষুধকে সার্টিফিকেট দেয়নি। আর তাতেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। শুক্রবার লঞ্চ ইভেন্ট চলাকালীন পতঞ্জলির পক্ষ বিবৃতিতে জানিয়েছিল, কেন্দ্রের আয়ুষ মন্ত্রক থেকে করোনিল ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যের সার্টিফিকেট পেয়েছে। শুধু তাই নয়, করোনিল হু থেকেও সার্টিফিকেট পেয়েছে বলে দাবি করেন পতঞ্জলির শীর্ষ আধিকারিক রাকেশ মিত্তল। তিনি এব্যাপারে টুইটও করেন। যদিও পরে সেই টুইট মুছে দেন।
হু'র দাবি প্রসঙ্গে পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আচার্য বালকৃষ্ণ বলেন, “বিভ্রান্তি এড়াতে স্পষ্ট করতে চাই যে হু জিএমপি অনুমোদিত ডিজিসিআই সিওপিপি সার্টিফিকেট ইস্যু করেছে করোনিলকে। এটা স্পষ্ট যে ডাব্লুএইচও কোনও ওষুধ অনুমোদন করে না বা অস্বীকার করে না। ডব্লুএইচও সারা বিশ্বের মানুষের উন্নত ও স্বাস্থ্যকর ভবিষ্যতের জন্য কাজ করে।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন