মেডেল আসলে জিতলেন কে? নেটমাধ্যম আপাতত সরগরম এই প্রশ্নই। সোমবার টোকিও অলিম্পিক্স পদকজয়ীদের সরকারি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মঞ্চের পিছনের ছবির সিংহভাগ জুড়ে যেভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি দেখা গিয়েছে, তাতে সর্বত্রই এখন এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে। আর মশকরা, কৌতুকে মজেছেন নেটাগরিকরা। সেই ছবিতে একেবারে ছোট ছোট সাত বৃত্তে সাত পদকজয়ী।
সেই উদ্দেশ্যে শোনা যাচ্ছে কটাক্ষ, ‘মেডেল আসলে জিতলেন কে? নীরজ চোপড়া, মীরাবাই চানু, পিভি সিন্ধুরা? না কি উনি?’ প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই দেশের সর্বোচ্চ ক্রীড়াসম্মান ধ্যানচাঁদের নামে করার সরকারি টুইটে ছবি জুড়ে ছিলেন মোদি আর এক কোণে জায়গা পেয়েছেন হকির জাদুকর!
পদকজয়ীদের একাধিক টুইট সমস্যায় ফেলেছে হরিয়ানা ও বিজেপি সরকারকে। এবারও টোকিয়োয় সাফল্যের পরে নীরজের জন্য ৬ কোটি এবং বজরংকে ২.৫ কোটি টাকা দেওয়ার কথা বলেছে হরিয়ানা সরকার। বজরং পুনিয়া এবার কুস্তিতে ব্রোঞ্জ যেতেন। তিনি ২০১৯ সালের জুনে করা এক টুইটে মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, ২০১৮ সালে এশিয়ান গেমসে সোনা জেতার জন্য তাঁকে তিন কোটি টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজ।
পদকজয়ীদের একাধিক টুইট সমস্যায় ফেলেছে হরিয়ানা ও বিজেপি সরকারকে। এবারও টোকিয়োয় সাফল্যের পরে নীরজের জন্য ৬ কোটি এবং বজরংকে ২.৫ কোটি টাকা দেওয়ার কথা বলেছে হরিয়ানা সরকার। বজরং পুনিয়া এবার কুস্তিতে ব্রোঞ্জ যেতেন। তিনি ২০১৯ সালের জুনে করা এক টুইটে মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, ২০১৮ সালে এশিয়ান গেমসে সোনা জেতার জন্য তাঁকে তিন কোটি টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজ।
অলিম্পিক্স চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী পদকজয়ী অ্যাথলিটদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন। আবার সান্ত্বনা দিয়েছেন ব্রোঞ্জ হারানো মহিলা হকি দলকে। সেই ছবি সংবাদ ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিতে সরকার এবং বিজেপি বিন্দুমাত্র দেরি করেনি। মোদি আবার স্বাধীনতার ৭৫ বছরের সঙ্গে অলিম্পিক্স সাফল্যকে জুড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তা নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষ, ভাবখানা এমন, যেন ওঁর প্রেরণাতেই একের পর এক পদকজয় হয়েছে।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী অবশ্য চোখে আঙুল দিয়ে একটা তথ্য মনে করিয়ে দিয়েছেন, গত বাজেটেও ক্রীড়া খাতে ২৩০ কোটি টাকা কমিয়েছে কেন্দ্র। আর এখন পদকজয়ীদের সাফল্যকে নিজেদের সাফল্য হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে তারা। হরিয়ানা সরকারকে নিশানা করে তাঁর টুইট, ‘শুধু শুকনো অভিনন্দন না জানিয়ে খেলোয়াড়দের বকেয়া পুরস্কারের টাকা দিন। ভিডিও কল অনেক হয়েছে। এবার ঘোষিত পুরস্কারের টাকাটা অন্তত দেওয়া হোক।’
টুইটে পুনিয়ার প্রশ্ন করেছিলেন, ‘যদি কথা রাখতেই না পারেন, তা হলে ভবিষ্যতে খেলোয়াড়রা আর কী প্রত্যাশা করবে?’ কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ওই বার্তা রি-টুইট করেছিলেন টোকিয়োয় দেশকে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে প্রথম সোনা এনে দেওয়া নীরজও। প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘কথা রাখুন। যাতে আমরা টাকার চিন্তা ঝেড়ে ফেলে অলিম্পিক্সের প্রস্তুতিতে মন দিতে পারি।’ কংগ্রেসের কটাক্ষ, এ বারও টাকা হাতে পৌঁছবে তো?
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন