নিত্যপণ্য এবং শিল্পক্ষেত্রে পাইকারি ও খুচরো মূল্যবৃদ্ধি ক্রমশ বাড়ছে। আরবিআইয়ের আশঙ্কা সত্যি করে ফেব্রুয়ারি মাসে মুদ্রাস্ফীতির হার আকাশ ছুঁয়েছে। শীতকালীন সব্জির অঢেল জোগান কমতে শুরু করেছে। সঙ্গে মূল্যবৃদ্ধি ঘটছে খাদ্যসামগ্রীতে।
আরবিআই এই ইস্যুতে অনেকবার সতর্ক করেছিল। কিন্তু গুরুত্ব দেয়নি কেন্দ্র। ফেব্রুয়ারি মাসের রিপোর্টে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির ১৩ শতাংশ, খুচরো পণ্যের মুদ্রাস্ফীতির ৬ শতাংশ ছাড়িয়েছে। সোমবার সরকারের পরিসংখ্যান বিভাগ এই রিপোর্ট পেশ করেছে। রিপোর্টেই প্রমাণ হচ্ছে, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কেন্দ্রের দাবি কতটা ভুল।
চলতি বছরের প্রথমার্ধে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ কতটা করা যাবে, তা নিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কই সন্দেহ প্রকাশ করেছে। তাই নীতি নির্ধারণ কমিটির বৈঠকে সুদের হার একই রাখা হয়েছে। কিন্তু রেপো রেট কমানোর জন্য কর্পোরেট এবং সরকারের চাপ থাকলেও আরবিআই গত দুবছরে একবারও রেপো রেট বদলায়নি। তারা সতর্ক করেছে। অথচ প্রধানমন্ত্রী বা অর্থমন্ত্রী বারবার বলেছেন, মূল্যবৃদ্ধির দুর্ভোগ ও চাপ বাস্তবে নেই। বিরোধীদের অভিযোগ ঠিক নয়।
সরকারের জবাবি ভাষণে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘পাইকারি মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে নয়, আমজনতার চিন্তা খুচরো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি।’ আর তা নিয়ন্ত্রণে রাখছে মোদি সরকার। কিন্তু এদিনের রিপোর্ট সম্পূর্ণ অন্য কথা বলছে।
আশঙ্কা আরও আছে—ইউক্রেনের যুদ্ধ, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম-এই দুইয়ের প্রভাবে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। রিপোর্ট অনুযায়ী, উৎপাদন ক্ষেত্র, খনিজ তেল, পেট্রপণ্যের পাশাপাশি খাদ্যপণ্যেও মূল্যবৃদ্ধি ঘটছে। আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রভাব পড়বে পেট্রোল ডিজেলের দামে। তাই উদ্বেগ বাড়ছে এখন থেকেই।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন