ফের উর্দ্ধমুখী দেশের পাইকারি পণ্যের মুদ্রাস্ফীতি হার। বিশেষ করে উৎপাদন পণ্য় যেমন গাড়ি, লেদার, বিস্কুটের পাইকারি মূল্য গত মাসের থেকে ১.৪৩ শতাংশ বেড়েছে। যার ফলে সমস্যার মুখে পড়েছেন দেশের সাধারণ মানুষ।
সোমবারেই প্রকাশ্যে এসেছে জুনের মুদ্রাস্ফীতি হার। তথ্য অনুযায়ী, তিন শতাংশ ছাড়িয়েছে পাইকারি মূল্যের সূচক। জুনে মূল্যবৃদ্ধি হয়ে দাঁড়িয়েছে ৩.৩৬ শতাংশ। মে মাসে যেটি ছিল ২.৬১ শতাংশ। এর কারণ হিসাবে বলা হচ্ছে, খাদ্য মূল্যবৃদ্ধির হার এবং প্রাথমিক জিনিসপত্রের মূল্যস্ফীতির হার বৃদ্ধি। উৎপাদিত পণ্যের মূল্যস্ফীতির হার যে এক শতাংশের নিচে ছিল, এবার তা প্রায় দেড় শতাংশে পৌঁছেছে।
এক নজরে কোন জিনিসের মুদ্রাস্ফীতি হার কত বেড়েছে -
বেড়েছে খাদ্য মুদ্রাস্ফীতির হার – খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়ার ফলে প্রভাব পড়েছে পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির উপর। জুনে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৮.৬৮ শতাংশ, যা মে মাসে ছিল ৭.৪০ শতাংশ।
প্রাথমিক পণ্যের মুদ্রাস্ফীতি হার - জুনে প্রাথমিক পণ্যের মুদ্রাস্ফীতির হার বেড়েছে ৮.৮০ শতাংশ, যেখানে আগের মাসে ছিল ৭.২০ শতাংশ। এর মধ্যে রয়েছে খাদ্য়, খনিজ এবং শাকসবজির দাম।
কমেছে জ্বালানি এবং বিদ্যুতের পাইকারি হার – এই সবের মধ্যে কমেছে জ্বালানি এবং বিদ্যুতের পাইকারি হার। জুন মাসে হয়েছে ১.০৩ শতাংশ। মে মাসে যেটা ছিল ১.৩৫ শতাংশ।
বেড়েছে উৎপাদন পণ্যের পাইকারি হার - উৎপাদন পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে জুনে হয়েছে ১.৪৩ শতাংশ। মে মাসে যেটা ছিল ০.৭৮ শতাংশ। এর মধ্যে পড়ে গাড়ি, লেদার, বিস্কুট।
ডিম, মাছ এবং মাংসের পাইকারি হার কমেছে - জুনে মাসে ডিম, মাংস ও মাছের মতো খাদ্যপণ্যের দাম কমেছে। জুন মাসে মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে ২.১৯ শতাংশ। মে মাসে তা ছিল ১.৫৮ শতাংশ।
কমেছে ডালের পাইকারি হার - জুনে ডালের মুদ্রাস্ফীতি ২.৪১ শতাংশে নেমে এসেছে, যা মে মাসে ছিল ২.৬৭ শতাংশ।
পিঁয়াজের পাইকারি মূল্যের হার বেড়েছে – জুন মাসে পিঁয়াজের মুদ্রাস্ফীতি হার বেড়ে হয়েছে ৯৩.৩৫ শতাংশ। মে মাসে যা ছিল ৫৮.০৫ শতাংশ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন