আদানি-হিন্ডেনবার্গ ইস্যুতে JPC তদন্ত থেকে 'পালাতে চাইছে কেন্দ্র'। মঙ্গলবার, এই ভাষাতেই মোদী সরকারকে নিশানা করেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ।
মঙ্গলবার, আদানি প্রসঙ্গে প্রথমবার মুখ খোলে কেন্দ্র। সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'বিষয়টি এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। মন্ত্রী হিসাবে এই নিয়ে আমার কথা বলা উচিত নয়। তবে আদানি প্রসঙ্গে বিজেপি কিছুই লুকোতে চায় না। কোনও কিছুতেই বিজেপির ভয়ের কারণ নেই।'
অমিত শাহের এই মন্তব্যের পাল্টা দেন জয়রাম রমেশ। তিনি বলেন 'যদি ওদের (বিজেপি'র) কিছুই লুকনোর নাই থাকে, তাহলে জেপিসি (JPC) গড়ে তদন্তের দাবি থেকে পালাচ্ছে কেন?'
এদিন এক সাংবাদিক সম্মেলনে জয়রাম বলেন, 'ওরা (বিজেপি) আমাদের পার্লামেন্টে যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়ার অনুমতি দিচ্ছে না। আমাদের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে-সহ আমাদের নেতারা এই কমিটির জন্য যে দাবি জানিয়েছেন, সেই সব মন্তব্য বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে।'
একইসঙ্গে, তিনি জানান, আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) গভর্নর শক্তিকান্ত দাস এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়ার (SEBI) প্রধান মাধবী পুরী বুচকে চিঠি লিখেছেন তিনি।
এদিকে, মোদী ও আদানির সম্পর্ক নিয়ে কটাক্ষ করায়, সংসদে রাহুল গান্ধির বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের যে নোটিশ এনেছেন সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি (১২ ফেব্রুয়ারি) ও বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে (৮ ফেব্রুয়ারি)। একইসঙ্গে, রাহুল গান্ধীকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
মঙ্গলবার, এই দাবি নস্যাৎ করে দিয়ে জয়রাম বলেন, 'রাহুল গান্ধী ভুল কিছু বলেননি। ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই নেই।'
টুইটারে রমেশ লিখেছেন, 'হাম আদানি কে হ্যায় কৌন'। সঙ্গে, প্রধানমন্ত্রী মোদীকে উদ্দেশ্য করে তিনটি প্রশ্নের সেটও পোস্ট করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার, আদানি ইস্যুতে লোকসভায় সরব হন রাহুল গান্ধী। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে আদানি গোষ্ঠীর রেকর্ড উত্থানের নেপথ্যে মোদীর প্রত্যক্ষ অবদান রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। আর তাতেই ক্ষেপে যান বিজেপি সাংসদরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন