দাউদের সঙ্গে যোগ রয়েছে। পাশাপাশি বেআইনি আর্থিক লেনদেনেও জড়িত রয়েছেন। এই দুই অভিযোগে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিককে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আজ সকালেই এনসিপি নেতা তথা ওই মন্ত্রীর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। পরে তাঁকে ইডির মুম্বই দফতরে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রায় ৭ ঘণ্টা জেরার পর গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। নবাব মালিকের গ্রেফতারের পরই সরগরম জাতীয় রাজনীতি।
গ্রেফতারের পর শারীরিক পরীক্ষার জন্য নবাব মালিককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘মাথা নত করব না আমি। ভয় পাই না কাউকে। লড়াই করে জিতব। আসল সত্যটা সকলের সামনে আনবই।'
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, যে বেআইনি আর্থিক লেনদেন কান্ডে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেই মামলায় দাউদ ইব্রাহিমের ভাই ইকবাল কাসকর এবং বোন হাসিনা পারকরের নামও রয়েছে।
সম্প্রতি দাউদকে বাগে আনতে মাথা ঘামাতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। ক’দিন আগে যখন অর্থপাচারের অভিযোগে মুম্বইয়ে দাউদ ঘনিষ্ঠদের ডেরায় অভিযান চলে, তখন ইডির নজরে মহারাষ্ট্রের এক রাজনীতিবিদও আছেন বলে জানা গিয়েছিল। এরপরই আজ সকাল ৬টা নাগাদ নবাবের বাড়ি গিয়ে ঘণ্টা খানেক জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডির মুম্বই অফিসে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে বেশ কিছু প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি তিনি বলে জানা গেছে। নবাবের গ্রেফতারির পর এনসিপি কর্মীরা ইডি দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান।
প্রসঙ্গত, গত বছর অক্টোবরে শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানকে আরব সাগরের প্রমোদতরী থেকে মাদক মামলায় গ্রেফতার করা হয়। তারপর ধারাবাহিক ভাবে কেন্দ্রীয় সংস্থা নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)-র বিরুদ্ধে সরব ছিলেন নবাব। বিজেপি আরিয়ানকে ফাঁসিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন