"বিজেপিকে এর উত্তর দিতেই হবে। এই অত্যন্ত গুরুতর এবং স্পর্শকাতর বিষয়টির সঠিক তদন্ত হওয়া উচিত। রাজস্থানের ঘটনার সাথেও বিজেপি যোগ ছিল। এখন জম্মুতে ধৃত 'লস্কর জঙ্গি' বিজেপির আইটি সেলের প্রধান ছিল বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। ভারতকে কি এইভাবে নিরাপদ রাখা হচ্ছে?" - জম্মুতে ধৃত লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গির বিজেপি যোগ প্রসঙ্গে একথা বললেন সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।
রবিবার মোস্ট ওয়ান্টেড লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি তালিব হুসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জম্মু এবং কাশ্মীরের রিয়াসী জেলার তুকসন ঢোক গ্রামের গ্রামবাসীরা তালিব হুসেন এবং তাঁর সহযোগী ফয়জল আহমেদকে ধরে পুলিশের হতে তুলে দেন।
জানা গেছে এই তালিব হুসেন বিজেপির সক্রিয় সদস্য। দু মাস আগেই হুসেনকে জম্মু প্রদেশে দলের সংখ্যালঘু মোর্চার আইটি এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করে বিজেপি। জম্মু-কাশ্মীরের বিজেপি সভাপতি রবীন্দ্র রায়না সহ একাধিক সিনিয়র বিজেপি নেতার সাথে হুসেনের বহু ছবি রয়েছে।
তালিবের বিজেপি যোগের ঘটনার জন্য অনলাইন সদস্য সংগ্রহের প্রক্রিয়াকে দোষারোপ করেছেন দলের মুখপাত্র আর এস পাঠানিয়া। এনডিটিভি-র এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাঠানিয়া জানিয়েছেন, "এখন যে কেউ অনলাইনে বিজেপির সদস্য হতে পারে। যারা সন্ত্রাস ছড়াতে চায় তারাও। আমার মতে এই পদ্ধতি সঠিক নয়। কারণ এক্ষেত্রে কারও ব্যাকগ্রাউন্ড বা অপরাধমূলক রেকর্ড যাচাই করার কোনো ব্যবস্থা নেই।"
উল্লেখ্য, এর আগেও বিজেপি নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেস নেতা পবন খেরা জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে বিজেপির ভোপালের আইটি সেলের জেলা কো-অর্ডিনেটর ধ্রুব সাক্সেনার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ উঠেছিল। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-কে তথ্য পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল ধ্রুব সাক্সেনাকে।
তিনি আরও জানান, ২০১৯ সালে মধ্যপ্রদেশের সাতনা থেকে বজরং দল এবং বিজেপির ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করে সন্ত্রাসবাদ দমন শাখা। এঁদের বিরুদ্ধেও আইএসআই-কে তথ্য পাচারের অভিযোগ ছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন