বিমা বেসরকারিকরণ বিল আগেই এনেছে কেন্দ্র। এবার শীতকালীন অধিবেশনে ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণ বিল আনতে চলেছে মোদী সরকার। এছাড়াও বিদ্যুৎ আইনের সংশোধনী বিলও আনা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ১৯ শে নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৩ কৃষি আইন প্রত্যাহার করেছেন। কিন্তু কৃষকদের দাবি ছিল – কৃষি আইনের পাশাপাশি বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল প্রত্যাহার করতে হবে। সাথে সাথে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের নতুন আইন আনতে হবে।
এবারের শীতকালীন অধিবেশনে ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণ বিলের পাশাপাশি আরও ২৬ টি বিল আনতে চলেছে কেন্দ্র সরকার। ১৯৭০ ও ১৯৮০ সালের ব্যাঙ্ক জাতীয়করণের দু’টি আইন এবং ১৯৪৯-এর ব্যাঙ্ক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করা হবে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, ডিপার্টমেন্ট অফ ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের সচিব তুহিন কান্তি পান্ডে বলেছেন, আগামী কয়েকমাসের মধ্যেই অন্তত ৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রের বেসরকারিকরণ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। একসঙ্গে অনেক ব্যাঙ্কের দায়িত্ব আর সরকার নিজের হাতে রাখতে চাইছে না।
ব্যাঙ্কের কর্মী, অফিসারদের সংগঠনগুলি ইতিমধ্যেই এই বিলের তীব্র বিরোধিতা করে ‘ব্যাঙ্ক বাঁচাও, দেশ বাঁচাও’-এর ডাক দিয়েছেন। তাঁরা কলকাতা থেকে দিল্লি যাত্রার ঘোষণা করেছে। ৩০ নভেম্বর যন্তর মন্তরে সমাবেশ করতে পারেন তাঁরা। কৃষকদের টানা একবছর আন্দোলনের চাপে ৩ কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্র। কৃষকদের সাফল্যে উজ্জীবিত হয়ে ব্যাঙ্কের ইউনিয়নগুলিও আন্দোলনের পথে যেতে চলেছে বলেই সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই - দিল্লিতে ব্যাঙ্কিং কর্তাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক ও মন্ত্রিসভার কয়েকজন প্রতিনিধির বৈঠক করেছিলেন। ২৫টি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক, বৃহৎ শিল্পমহল, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্তারা এই বৈঠকে অংশ নেন। সেখানে বার্তা দেওয়া হয়েছিল যে, হাতে গোনা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক রেখে বাকিগুলিকে সংযুক্ত করা হবে। কিছু বিক্রি করে দেওয়া হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন