নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন গুজরাট গণহত্যায় অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া তৎকালীন বিচারপতি, আইনজীবী ও ৯৫ জন সাক্ষী। এই বছরের এপ্রিল মাসেই বেকসুর খালাস হয়েছে অভিযুক্তরা। সেই কারণে আরও আতঙ্কে রয়েছেন ওই বিচারক, আইনজীবী ও সাক্ষীরা।
গুজরাট গণহত্যার সাথে সরাসরি যোগ থাকায় অভিযুক্তদের শাস্তি দিয়েছিলেন তৎকালীন বিচারপতি জ্যোৎস্না ইয়াগনিক। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই লড়েছিলেন আইনজীবী এস এম বোরা। সাক্ষী দিয়েছিলেন ৯৫ জন। তাঁদের সাক্ষ্যের ভিত্তিতেই অভিযুক্তদের শাস্তি দিয়েছিলেন বিচারক। এই সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কড়া নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো বিচারক জ্যোৎস্না ইয়াগনিককে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। বাকি ৯৫ জন সাক্ষীর নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল গুজরাট সরকারকে। একাধিক মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, গুজরাট সরকার সম্প্রতি ওই ৯৫ জনের নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। দীপাবলির পর থেকে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জ্যোৎস্না ইয়াগনিকের বাড়ির বাইরে নিরাপত্তার জন্য বহাল থাকা সিআইএসএফ জওয়ানরাও আর আসেননি। অর্থাৎ তাঁরও নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার আহমেদাবাদ পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার এফ এ শেখ বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নিযুক্ত সিটের উইটনেস প্রোটেকশন সেলের সুপারিশের ভিত্তিতেই নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৫ বছর আগে নারোদা পাটিয়া, নারোদা গাম, গুলবার্গ সোসাইটি সহ গণহত্যার ৯টি মামলায় বিচারক ও সাক্ষীদের নিরাপত্তার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিমকোর্ট। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীনই ওই বিচারক প্রায় ২০ বার প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছিলেন। অভিযুক্তরা মুক্তি পাওয়ায় আতঙ্কে রয়েছেন তিনিও।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন