ইউক্রেন থেকে ভারতে ফিরেই সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন এক পড়ুয়া। পড়ুয়ার কথায়, যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকা থেকে নাগরিকদের উদ্ধার করার জন্য সময়মতো পদক্ষেপ নেয়নি সরকার। এখন দেশে ফেরার পর তাদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো অর্থহীন।
বিহারের মতিহারির বাসিন্দা দিব্যাংশু সিং পড়াশোনার জন্য ইউক্রেনে থাকতেন। রাশিয়ার হামলার পর বহু কষ্টে হাঙ্গেরিতে আসেন চলে যান তিনি। বৃহস্পতিবার বিকেলে দিল্লিতে নামেন তিনি। সেখানে তাঁকে কেন্দ্রের তরফ থেকে গোলাপ ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হয়।
বিমানবন্দরে একটি সংবাদমাধ্যম দিব্যাংশুকে প্রশ্ন করে ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাস থেকে তিনি কিরকম সাহায্য পেয়েছিলেন। এর উত্তরে তিনি বলেন, "ইউক্রেনে কোনো সাহায্য পাইনি আমরা। যা করেছি আমরা নিজেরাই করেছি। হাঙ্গেরি সীমান্ত অতিক্রম করার পর সাহায্য পেয়েছি। আমাদের দশজনের একটি দল ছিল। বহু কষ্টে ট্রেনে চেপে হাঙ্গেরি সীমান্তে গিয়েছি।"
ট্রেনে চড়ার সময় বা সীমান্ত অতিক্রম করার সময় স্থানীয়রা ভারতীয় নাগরিকদের হয়রানি করছেন। এরকম বেশ কয়েকটি খবর প্রকাশ্যে এসেছে। এই বিষয়ে দিব্যাংশুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, স্থানীয় লোকজনরাই তাঁদের সাহায্য করেছেন। কেউ তাঁদের সাথে কোনো খারাপ ব্যবহার করেনি। বরং পোল্যান্ড সীমান্তে ভারতীয় ছাত্রদের হয়রানির জন্য ভারত সরকারকেই দায়ী করেছেন তিনি। তিনি বলেন, "পোল্যান্ড সীমান্তে কিছু ছাত্র হয়রানির শিকার হয়েছে। এর জন্য দায়ী আমাদের সরকার। সঠিক সময়ে ব্যবস্থা নিলে আমরা এত সমস্যার সম্মুখীন হতাম না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই প্রথম তাদের নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়তে বলে।"
এরপরই হাতের গোলাপটি দেখিয়ে তিনি বলেন, "এখন আমাদের এটা (গোলাপ) দেওয়া হচ্ছে। কী লাভ? এটা দিয়ে কী করবো আমরা? সেখানে আমাদের কিছু হলে আমাদের পরিবার কী করত?" তাঁর অভিযোগ, ইউক্রেনে আটক অন্যান্য বিদেশি নাগরিকদের রোডম্যাপ ছিল। তাঁদের সরকার সঠিক সময়ে উদ্যোগ নিয়েছে। তাঁরা অনেক কম অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন।
তিনি বলেন, "সরকার সময়মতো পদক্ষেপ নিলে এখন ফুল বিতরণের প্রয়োজন হতো না। আমাদের পরিবারগুলো খুবই উদ্বিগ্ন ছিল।"
দেশে ফেরা অন্যান্য পড়ুয়ারাও সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন