বিজেপি শাসিত কর্ণাটকে বিশ্বেশ্বরায়া আয়রন অ্যান্ড স্টিল লিমিটেড (VISL)-এর বেসরকারীকরণের বিরোধিতা করেছে সংস্থার কয়েক হাজার কর্মী।
মঙ্গলবার, কর্ণাটকের ভদ্রাবতীতে VISL-র লৌহ ইস্পাত কারখানার বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, সরকারিভাবে অধিগ্রহণের পর VISL-র সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড (SAIL)। যার জেরে ক্রমাগত লোকসানের মধ্যে চলছে VISL। অন্যদিকে, SAIL অন্যান্য কারখানায় বিপুল বিনিয়োগ করছে বলে জানিয়েছেন VISL-র কর্মীরা।
জানা যাচ্ছে, ১৯১৭ সালে কর্ণাটকের ভদ্রাবতীতে Mysore Iron and Steel Limited নামে একটি লৌহ ইস্পাত কারখানা প্রতিষ্ঠা করেন মাইসুরু মহারাজারা। ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে কারখানাটিতে প্রথম উৎপাদন শুরু হয়। ১৯৭৫ সালে এই কারখানাটির নতুন নামকরণ হয় - বিশ্বেশ্বরায়া আয়রন অ্যান্ড স্টিল লিমিটেড (VISL)।
১৯৮৯ সালে, মাত্র ১ টাকার বিনিময়ে VISL-কে Subsidiary Unit হিসাবে অধিগ্রহণ করে স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড (SAIL)। পরে, ১৯৯৮ সালে VISL-র দায়িত্ব সরকারীভাবে গ্রহণ করে SAIL। কিন্তু, এবার সেই SAIL-র বিরুদ্ধে বিমাতৃসুলভ আচরণের অভিযোগ তুললেন VISL-র কর্মীরা।
জানা যাচ্ছে, বিশ্বেশ্বরায়া আয়রন অ্যান্ড স্টিল লিমিটেড (VISL)-র কারখানায় কয়েক হাজার কর্মী ছিল। কিন্তু, বর্তমানে সেখানে মাত্র ২৫০ জন স্থায়ী এবং ১,৫০০ জন চুক্তিভিত্তিক কর্মী আছে।
এ প্রসঙ্গে, VISL কন্ট্রাক্ট ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এইচ জি সুরেশ (H. G. Suresh) বলেন, 'কারখানায় বিনিয়োগ আনার বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে আশ্বাস দিয়ে আসছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরিয়াপ্পা ও তার ছেলে বিজেপি সাংসদ বি ওয়াই রাঘবেন্দ্র। কিন্তু, সেই আশ্বাস অধরাই থেকে গেছে।'
তিনি বলেন, 'দীর্ঘ ২০ থেকে ৩০ বছর ধরে এই কারখানায় কাজ করেছেন প্রায় ১৫০০ চুক্তিভিত্তিক কর্মী। বর্তমানে তাঁদের বয়স ৪৫ থেকে ৫০ বছর। এটি বেসরকারীকরণ বা বন্ধ হয়ে গেলে এঁদের কোথাও যাওয়ার সুযোগ থাকবে না।'
তিনি আরও জানান, 'দেশের সেরা কারখানার মধ্যে একটি হল VISL। এটিকে যাতে বন্ধ বা বেসরকারীকরণ না করা হয়, সেজন্য কর্ণাটকের সমস্ত সাংসদদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে দেখা করা দরকার। এবং VISL বাঁচানোর জন্য তাঁকে (মোদীকে) রাজি করাতে হবে।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন