বেঙ্গল কেমিক্যাল অ্যান্ড ফার্মাসিউটকলসকে বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্তের কারণে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন সংস্থার কর্মীরা। দেশের প্রথম ফার্মা সংস্থা এই বেঙ্গল কেমিক্যাল। ১৯০১ সালে বিজ্ঞানী প্রফুল্ল চন্দ্র রায় ও শিল্পপতি মানব মিত্র মিলে এই ফার্মা কোম্পানিটি গড়ে তোলেন। তখনকার দিনে রাসায়নিক ও ফার্মাসিউটকল দ্রব্যের জন্য ভারতকে 'আত্মনির্ভর' করতেই সংস্থাটি গড়ে তোলা হয়েছিল।
এরপর অনেক চড়াই উতরাই পথের সম্মুখীন হতে হয়েছিল বেঙ্গল কেমিক্যালকে। বিগত কিছু বছরে সংস্থাটি ৪০০ কোটি টাকার লাভের মুখ দেখেছে। ২০২০ অর্থবর্ষে ১৩০.৭ কোটি টাকা লাভের মুখ দেখেছে সংস্থাটি। ২০১৬ সালের পর থেকে নিয়মিতই লাভ পেয়ে এসেছে বেঙ্গল কেমিক্যাল। বেঙ্গল কেমিক্যালের উৎপাদিত দ্রব্য বেঙ্গল কেমিক্যাল ফিনাইল, ন্যাপথলিন বল, ক্যান্থারাইডিন হেয়ার আয়েল ও অ্যাকোয়া টাইকোটিস এখনও মার্কেটে নিজেদের রিটেল সেন্টারেই বিক্রি হয়। এমনকী, ই-কমার্স সাইটেও সংস্থার উৎপাদিত দ্রব্যের রমরমা রয়েছে। এটিই দেশের প্রথম সংস্থা যেখানে সাপের কামড়ের ওষুধ তৈরি হয়।
২০১৬ সালের পর থেকে কেন্দ্রীয় সরকার বেঙ্গল কেমিক্যালকে বেসরকারিকরণের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। পানিহাটিতে সংস্থার ২৫ একর জমি অধিগ্রহণ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্র। যার বাজারমূল্য প্রায় ১,০০০ কোটি টাকা। ২০১১ সালে বাম সরকার আশ্বাস দিয়েছিল, সংস্থার কোনও ক্ষতি হবে না। এরপরে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর কেন্দ্রকে বেসরকারিকরণ করানো থেকে বিরত রাখতে কিছুটা চাপ সৃষ্টি করেছিল। এরওপর সংস্থার কর্মী সংগঠনের তরফেও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে বার বার বিসিপিএল (BCPL) -এর বেসরকারিকরণ থেকে বিরত থাকার আবেদন জানানো হয়েছে। একটি প্রতিবাদপত্রও পাঠানো হয়েছে পিএমওতে কর্মী সংগঠনগুলোর তরফে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন