পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি (WPI) নভেম্বর মাসে ১৪.২৩ শতাংশে পৌঁছেছে। যা ১২ বছরের সর্বোচ্চ। মঙ্গলবার সরকার কর্তৃক প্রকাশিত তথ্যে এমনটাই জানা গেছে। অক্টোবর থেকেই উর্দ্ধমুখী পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি (১২.৫৪%)। সেপ্টেম্বরের মুদ্রাস্ফীতি সংশোধিত হার ছিল ১১.৮০%।
গত কয়েক মাস ধরে ক্রমবর্ধমান পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি। যা যথেষ্ট উদ্বেগের বিষয়। পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি (WPI) হয় প্রধানত উত্পাদন এবং খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির জন্য হয়ে থাকে। এছাড়া খনিজ তেল, মৌলিক ধাতু, অপরিশোধিত পেট্রোলিয়াম এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিও একটি প্রধান কারণ।
বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে - “২০২১ সালের নভেম্বরে মূল্যস্ফীতির উচ্চ হার প্রাথমিকভাবে খনিজ তেল, মৌলিক ধাতু, অপরিশোধিত পেট্রোলিয়াম এবং প্রাকৃতিক গ্যাস, রাসায়নিক এবং রাসায়নিক পণ্য, খাদ্য পণ্য ইত্যাদির দাম আগের বছরের একই মাসের তুলনায় বৃদ্ধির কারণে হয়েছে।” পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি বাড়ায় স্বাভাবিকভাবেই পকেটে টান পড়ছে মধ্যবিত্তের। বাজারে আকাশছোঁয়া দাম শাক-সব্জি থেকে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, সমস্ত পণ্যের জন্য পাইকারি (WPI) মুদ্রাস্ফীতির হার ১৪.২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেলেও, বিশেষ করে জ্বালানি এবং বিদ্যুতের ক্ষেত্রে এটি ৩৯.৮১ শতাংশ বেড়েছে। ২০২১ সালের অক্টোবরে যা ৩৭.১৮ শতাংশ ছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন