দিল্লি পুলিশের বাধা ভেঙে প্রতিবাদী কুস্তিগীরদের পাশে দাঁড়ালেন কৃষকরা। শুধু তাই নয়, ২১ মে-র মধ্যে ডব্লিউএফআই সভাপতি ব্রিজ ভূষণ সিং-কে গ্রেফতার না করা হলে আন্দোলনের তীব্রতা আরও বাড়ানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।
কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি তথা বিজেপি সাংসদ ব্রিজ ভূষণ সিং-এর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলে তাঁর গ্রেফতারির দাবিতে গত ২৩ এপ্রিল থেকে দিল্লির যন্তর মন্তরে ধর্নায় বসেছেন ভিনেশ ফোগট, সাক্ষী মালিকদের মতো দেশের খ্যাতনামা কুস্তিগীররা। রবিবার তাঁদের সংহতি জানাতে যান কয়েকশ কৃষকরা। মূলত পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তর প্রদেশ থেকে কৃষকরা গিয়েছিলেন। মিছিলে মহিলা কৃষকদের অংশগ্রহণ ছিল নজরকাড়া।
কৃষকদের আটকাতে টিকরি সীমানায় ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে কড়া পাহারার ব্যবস্থা করেছিল দিল্লি পুলিশ। বিপুল পরিমাণে আরএএফ, সিআরপিএফ জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছিল। ব্যারিকেড ভেঙেই আন্দোলনরত কুস্তিগীরদের কাছে গিয়েছেন কৃষকরা।
ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের (বিকেইউ) মুখপাত্র রাকেশ টিকাইত, সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার (অ-রাজনৈতিক) বলদেব সিং সিরসা এবং খাপ মাহাম ২৪-এর প্রধান মেহর সিং মঞ্চে উঠে কুস্তিগীরদের আন্দোলনকে সংহতি জানান এবং তাঁদের সাথে বৈঠক করেন। এরপর তাঁরা কুস্তিগীরদের নিয়ে প্রেস কনফারেন্স করেন।
বিশাল জনসমাবেশের সামনে রাকেশ টিকাইত বলেন, "খাপ পঞ্চায়েত এবং সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার অনেক নেতা আজ বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, প্রতিদিন এক একটি খাপের সদস্যরা ধর্নাস্থলে আসবেন। তারা দিনের বেলা এখানে থাকবেন এবং সন্ধ্যায় ফিরে যাবেন। ৩১ জন সদস্য নিয়ে কুস্তিগীরদের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটি আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকবে। আমরা বার থেকে এই আন্দোলনকে সমর্থন করবো। ২১ মে আবার একটি বৈঠক ডেকেছি আমরা। তার মধ্যে সরকার যদি কোনও ব্যবস্থা না নেই, তাহলে আমরা আমাদের পরবর্তী কৌশল ঠিক করবো। আমরা সম্ভাব্য সব উপায়ে কুস্তিগীরদের সাহায্য করবো। এই লড়াই আরও দীর্ঘ হবে।“
এদিন সন্ধ্যায় কয়েকশ সমর্থক নিয়ে মোমবাতি মিছিল বের করেন আন্দোলনরত কুস্তিগীররা। একে অপরের হাত ধরে হাঁটার সময় 'ইনকিলাব জিন্দাবাদ' স্লোগান দেন তাঁরা। মিছিল শুরুর আগে দেশাত্মবোধক গান বাজানো হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন