মোদী জমানায় বেড়েছে ব্যাঙ্কের অনাদায়ী ঋণ। গত ৮ বছরে ২০১৪-১৫ থেকে ২০২২-২৩ রাষ্ট্রায়ত্ত, বেসরকারি, বিদেশি সহ সব ব্যাঙ্কে অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬.৫ লক্ষ কোটি টাকা।
আবার, এই অনাদায়ী ঋণের (NPA) ১৪.৫ লক্ষ কোটি টাকা ব্যাঙ্কের খাতা থেকে মুছেও দেওয়া হয়েছে। যার অর্থ, এই বিশাল পরিমান ঋণ মকুব করেছে কেন্দ্রের মোদী সরকার।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন গত ১৬ ডিসেম্বর, সংসদে ব্যাঙ্ক ঋণের যে তথ্য পেশ করেছেন, তাতেই বিপুল অনাদায়ী ঋণ মকুবের এই চিত্র ধরা পড়েছে।
জানা গেছে, এই অনাদায়ী ঋণ মকুবের বড় অংশ হলো কর্পোরেট ঋণ। এই মকুব ঋণের মাত্র ২০ শতাংশ পরে আদায় হয়। বাকি ৮০ শতাংশ মকুব ঋণের অর্থ আইনিভাবে ঢুকেছে কর্পোরেট কোষাগারে। ফলে আইনিভাবে গত ৮ বছরে উধাও হয়েছে ব্যাঙ্কের ১২ লক্ষ কোটি টাকা!
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী সীতারামন (গত ১৩ ডিসেম্বর) সংসদে জানান, ২০১৪ সালের ৩১ মার্চ, ভারতে মোট অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ ছিল ৪.১ শতাংশ। চার বছর বাদে- ২০১৮ সালে ৩১ মার্চ, তা বেড়ে হয়েছে ১১.৪৬ শতাংশ। গত বছরে অর্থাৎ, ২০২২ সালের ৩১ মার্চ, তা আরও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২.১৭ শতাংশ।
এর পর, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ভাগবত কে. কারাদ (২১ ডিসেম্বর), রাজ্যসভায় এক লিখিত উত্তরে জানান, ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে মোট ২ লক্ষ ৩৪ হাজার ১৭০ কোটি টাকার ঋণ মকুব করা হয়েছিল। ২০১৮-১৯ সালে মকুব করা হয়েছিল ২ লক্ষ ৩৬ হাজার ২৬৫ কোটি টাকার ঋণ।
তথ্য অনুসারে আট বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ঋণ মকুব হয়েছে ২০১৮-১৯ সালে। ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে মকুব করা হয় ১,৬১,৩২৮ কোটি টাকা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন