মোদী জমানায় বেড়েছে ব্যাঙ্কের অনাদায়ী ঋণ। গত ছয় বছরে ১১.১৭ লক্ষ কোটি টাকার বেশি অনাদায়ী ঋণ (NPA) ব্যাঙ্কের খাতা থেকে মুছেও দেওয়া হয়েছে। যার অর্থ, এই বিশাল পরিমান ঋণ মকুব করেছে কেন্দ্রের মোদী সরকার।
মঙ্গলবার, সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী ভাগবত কারাদ লিখিত উত্তরে জানিয়েছেন, ‘২০২১-২২ আর্থিক বছর পর্যন্ত, রিট-অফের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের ব্যালেন্স শীট থেকে থেকে ১১.১৭ লক্ষ কোটি টাকার খারাপ (অনাদায়ী) ঋণ সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, রিজার্ভ ব্যাংকের নির্দেশিকা ও সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের বোর্ডের অনুমোদিত নীতি অনুসারে রাইট অফ করা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (RBI) তথ্য অনুসারে, গত ছয় আর্থিক বছরে পাবলিক সেক্টরের ব্যাঙ্কগুলি (PSBs) ৮,১৬,৪২১ কোটি টাকা এবং সিডিউল কমার্শিয়াল ব্যাঙ্কগুলি (SCBs) ১১,১৭,৮৮৩ কোটি টাকা জমা দিয়েছে।’
অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থ প্রতিমন্ত্রী কারাদ বলেন, ‘রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ইন্ডিয়া (আরবিআই) জানিয়েছে, ২০১৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সরকারি ব্যাঙ্কগুলিতে ২৫ লক্ষ বা তার বেশি বকেয়া ঋণ রয়েছে এসমন ঋণ খেলাপিদের সংখ্যা ছিল ৮,০৪৫। আর, ২০২২ সালের ৩০ জুন নাগাদ সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২,৪৩৯।
এছাড়া, বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলিতে ২০১৭ সালের ৩০ জুন নাগাদ ঋণ খেলাপিদের সংখ্যা ছিল ১,৬১৬ টি। ২০২২ সালের ৩০ জুন, সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২,৪৪৭-এ।’
তিনি আরও বলেন, 'আরবিআই জানিয়েছে, ২০১৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সরকারী ও বেসরকারী ব্যাঙ্কগুলিতে ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপির দায়ে ৮,৭৪৪ টি মামলা দায়ের হয়েছে। এছাড়া, ৯১৭ টি নন-স্যুট-ফাইল দায়ের করা হয়েছে। একইভাবে, ২০২২ সালের ৩০ জুন নাগাদ ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপির দায়ে ১৪,৪৮৫ টি মামলা এবং ৪০১ টি নন-স্যুট-ফাইল দায়ের করা হয়েছে।'
এর আগে, রাজ্যসভায় অর্থ প্রতিমন্ত্রী ভাগবত কে. কারাদের লিখিত উত্তরে জানিয়েছিলেন, দেশের ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ২.৩৪ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ মকুব করা হয়েছে। ২০১৮-১৯ সালে ঋণ মকুব করা হয়েছে ২.৩৬ লক্ষ কোটি টাকা। এবং ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে মকুব করা হয় ১.৬১ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ মকুব করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ২০২০-২১ সালে সর্বোচ্চ ২,৮৪০ জন ব্যবসায়ী ইচ্ছাকৃতভাবে ঋণ খেলাপি করেছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন