নাবালিকাকে যৌন হেনস্থা মামলায় চাপে সিনিয়র বিজেপি নেতা বি এস ইয়েদুরাপ্পা। বৃহস্পতিবার তাঁর বিরুদ্ধে জারি হয়েছে গ্রেফতারি পরোয়ানা। বেঙ্গালুরুর এক আদালত তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। তদন্তের স্বার্থে তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে এদিনই আগে জানিয়েছিলেন কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর।
১৭ বছরের এক নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে পকসো আইনে মামলা দায়ের হয় কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে। ওই মামলার তদন্ত করছে কর্ণাটক সিআইডি। বৃহস্পতিবার কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর বলেন, যদি প্রয়োজন হয় তাহলে তদন্তের সুবিধার্থে ইয়েদুরাপ্পাকে গ্রেফতার করা হতেই পারে। এর সম্পূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবে সিআইডি।
বুধবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিজেপি নেতাকে তলব করেছিল সিআইডি। কিন্তু হাজিরা দেননি তিনি। রাজ্যের সংস্থাকে চিঠি লিখে জানিয়ে দেন তিনি আগামী ১৭ জুন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজিরা দেবেন। পাশাপাশি গ্রেফতারির আশঙ্কায় কর্ণাটক হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদনও জানিয়েছেন ইয়েদুরাপ্পা। যার শুনানি রয়েছে আগামীকাল।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ মার্চ বেঙ্গালুরুর সদাশিবনগর থানাতে নির্যাতিতার মা ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। ১৭ বছর বয়সী নাবালিকার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪(এ) ধারায় এবং প্রোটেকশন অফ চিলড্রেন ফ্রম সেক্স্যুয়াল অফেন্সেস (পকসো) আইনে বেঙ্গালুরুর সদাশিবনগর থানায় মামলা দায়ের হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে গত ২ ফেব্রুয়ারি। একটি প্রতারণা মামলায় সাহায্যের জন্য ইয়েদুরাপ্পার কাছে ওই নির্যাতিতা এবং তার মা গিয়েছিল। সেই সময়ই নাবালিকার ওপর যৌন নির্যাতন চালান প্রভাবশালী এই বিজেপি নেতা।
গত মে মাসে নির্যাতিতার মায়ের মৃত্যু হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন, সাথে শ্বাসকষ্ট ও কিডনির সমস্যা ছিল। হাসপাতালে ভর্তি করার পরের দিনই মৃত্যু হয় তাঁর। এক আইনজীবীর সাথে দেখা করার কথা ছিল ওই মহিলার। তার আগের দিনই তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় তদন্তের দাবি তুলেছিলেন ওই আইনজীবী। বিষয়টি রহস্যজনক বলে দাবি করেন তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন