Yes Bank Fraud: ৭১২ কোটি টাকা জালিয়াতির ঘটনায় বেঙ্গালুরুর সংস্থা থেকে গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার

ইয়েস ব্যাঙ্কে ৭১২ কোটি টাকার জালিয়াতির ঘটনায় বেঙ্গালুরু পুলিশ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ধার করলো। এই ঘটনায় বেঙ্গালুরু ভিত্তিক নীতেশ গ্রুপ অফ কোম্পানীর বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে কাব্বন পার্ক পুলিশ।
ইয়েস ব্যাঙ্ক
ইয়েস ব্যাঙ্কপ্রতীকী ছবি সংগৃহীত
Published on

ইয়েস ব্যাঙ্কে ৭১২ কোটি টাকার জালিয়াতির ঘটনায় বেঙ্গালুরু পুলিশ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ধার করলো। এই জালিয়াতির ঘটনায় বেঙ্গালুরু ভিত্তিক নীতেশ গ্রুপ অফ কোম্পানীর বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে কাব্বন পার্ক পুলিশ থানা। কর্ণাটকের প্রথম সারির রিয়েল এস্টেট কোম্পানীর বিরুদ্ধে পুলিস সম্প্রতি এক প্রোজেক্ট থেকে অন্য প্রোজেক্টে টাকা সরানো, সময়মত প্রোজেক্টের অগ্রগতি সম্পর্কে ব্যাঙ্ককে অবহিত না করার বিষয়ে বেশ কিছু নথি উদ্ধার করেছে।

এই প্রসঙ্গে ডিসিপি সেন্ট্রাল অনুচেত জানিয়েছেন, আমরা ইয়েস ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে নীতেশ গ্রুপ অফ কোম্পানীর তিন সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছিলাম। যেখানে ঋণচুক্তি লঙ্ঘন করার অভিযোগ তুলেছিলো ইয়েস ব্যাঙ্ক। যেখানে ব্যাঙ্ক জানিয়েছিলো এই সংস্থা এক প্রোজেক্টের টাকা অন্য প্রোজেক্টে খরচ করেছে, ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে অন্য খাতের ঋণ মিটিয়েছে এবং প্রোজেক্টের অগ্রগতি সম্পর্কে ব্যাঙ্ককে কিছুই জানায়নি।

তিনি আরও জানিয়েছেন, আমরা এই সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি উদ্ধার করেছি এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সমস্ত কাগজপত্র ফরেনসিক অডিটের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং আমরা সেই রিপোর্টের অপেক্ষা করছি।

প্রসঙ্গত, ৭১২ কোটি টাকা ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনায় গত ১৬ জুন বেঙ্গালুরুর কাব্বন পার্ক পুলিশ থানায় নীতেশ গ্রুপ অফ কোম্পানীজের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ইয়েস ব্যাঙ্কের ম্যানেজার আশিস বিনোদ।

ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে দায়ের করা অভিযোগে বিনোদ জানান, নীতেশ এস্টেটস লিমিটেড, নীতেশ হাউসিং ডেভলপমেন্ট প্রা লি এবং নীতেশ আরবান ডেভলপমেন্ট প্রা লি জালিয়াতি করেছে। এই এফআইআরে প্রোমোটর নীতেশ শেঠী সহ আরও সাত জনের নাম যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও সংস্থার শীর্ষ আধিকারিকদের নামও উল্লেখ করা আছে।

অভিযুক্ত নীতেশ শেঠী গত ২০১৬ সাল থেকে ইয়েস ব্যাঙ্কের মুম্বাই এবং বেঙ্গালুরু শাখা থেকে লেনদেন শুরু করেন। বেশ কিছু রিয়েল এস্টেট প্রোজেক্ট দেখিয়ে ৭১২ কোটি টাকা ঋণ নিলেও সময় পেরিয়ে যাবার পরেও সেই ঋণ শোধ করেননি। ব্যাঙ্কের অভিযোগ অনুসারে কমপক্ষে ১০টি প্রোজেক্ট দেখিয়ে এই ঋণ নেওয়া হয়েছিলো।

এই ঘটনায় অভিযুক্ত সংস্থার বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ধারা ৩৪ (বহু মানুষ দ্বারা একই উদ্দেশ্যে একই কাজ সংঘটিত), ধারা ৪০৬, ধারা ৪০৯ (অপরাধমূলক চুক্তিভঙ্গ) এবং ধারা ৪২০ (প্রতারণা) অনুসারে মামলা রুজু করা হয়েছে।

- with IANS inputs

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in