জেলা পঞ্চায়েতের সভাপতি নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ আনলেন সপা সভাপতি অখিলেশ যাদব। তাঁর অভিযোগ, এধরণের অগণতান্ত্রিক আচরণ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্বের জন্য চরম ক্ষতিকারক।
এক বিবৃতি প্রকাশ করে যাদব অভিযোগ করেন, জেলা পঞ্চায়েত সভাপতি নির্বাচনে সমস্তরকমের সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নিয়ম লঙ্ঘন করে জেলা প্রশাসন জোর করে সপা প্রার্থী ও অন্যান্য বিরোধী দলের প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা করতেই দেয়নি। শুধু তাই নয়, সপা নেতাদের হেনস্তার পাশাপাশি তাঁদের বিরুদ্ধে ভুয়ো মামলাও দায়ের করা হয়েছে। নির্বাচনী পদ্ধতিতে বাধা সৃষ্টি করার পরও প্রশাসন চুপ থেকেছে। প্রশাসনের এমন রূপ দেখা সত্যিই কষ্টকর। নির্বাচন কমিশনকেও এই বিষয়ে মুখবন্ধ করে থাকতে দেখা গিয়েছে। রাজভবনের তরফেও মৌনতাই পালন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন অখিলেশ।
বলরামপুরে পঞ্চায়েত সভাপতি নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টির প্রার্থীকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে এবং তাঁর মনোনয়নপত্র ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। একইভাবে গোরক্ষপুরেও জেলাশাসকের অফিসের প্রধান ফটকের সামনে বিজেপি কর্মীরা পাহারায় ছিলেন। এমনকী মনোনয়ন জমা করার ঘরের প্রত্যেকটি কোনায় বিজেপি কর্মীরা পাহারা দিয়েছেন।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর আরও অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর নিজের শহরে বিজেপি কর্মীদের এমন আচরণ লজ্জাজনক। ঝাঁসিতেও সপা প্রার্থীকে মনোনয়ন জমা করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তাঁর। আর বারানসীতে দলের প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ অখিলেশের। এমনকী, পুলিশের উপস্থিতিতেই সপা প্রার্থীকে অপহরণের চেষ্টাও করা হয় বাস্তিতে। গাজিয়াবাদে দলের প্রার্থী তথা প্রস্তাবককে মনোনয়ন জমা করার আগেই অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন অখিলেশ যাদব।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন