জামিন পেলেও কোনও সরকারি কাজ করতে পারবেন না, কেজরীকে বলল সুপ্রিম কোর্ট, তদন্তের ধীর গতি নিয়েও প্রশ্ন

People's Reporter: অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিনের শুনানিতে শীর্ষ আদালতের একের পর এক প্রশ্নের মুখে পড়ে ইডি। সব পক্ষের বক্তব্য শুনলেও মঙ্গলবার এই মামলায় কোনও নির্দেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট।
জামিন পেলেও কোনও সরকারি কাজ করতে পারবেন না, কেজরীকে বলল সুপ্রিম কোর্ট, তদন্তের ধীর গতি নিয়েও প্রশ্ন
গ্রাফিক্স - আকাশ
Published on

অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিনের শুনানিতে শীর্ষ আদালতের একের পর এক প্রশ্নের মুখে পড়েছে ইডি। তদন্তের ধীর গতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

দেশে সাধারণ নির্বাচন শুরু হয়ে গেছে। মঙ্গলবার তৃতীয় দফার নির্বাচন চলছে। এই আবহে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিনের আবেদন শুনতে রাজি হলো বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ। সাধারণ নির্বাচন চলছে বলেই জামিনের আর্জি শুনছে আদালত। উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করেছিল ইডি।

মঙ্গলবার শুনানিতে ইডির আইনজীবী এস ভি রাজু আদালতে জানান, যখন আমরা তদন্ত শুরু করেছিলাম তখন আমাদের কাছে সরাসরি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল না। তদন্ত চলাকালীন কেজরিওয়ালের নাম উঠে এসেছে। তাই তদন্তের একদম শুরুতে কেজরিওয়ালকে জেরা করা হয়নি। কেজরিওয়ালকে এই মুহূর্তে জামিন দিলে ভুল বার্তা যাবে।

পাল্টা বেঞ্চ প্রশ্ন করে, এই মামলার জন্য আপনারা এত সময় কেন নিচ্ছেন? তাঁকে একটাও প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়নি কেন এখনও? আমরা কিছুতেই বুঝতে পারছি না যে কেন এত দেরি করা হচ্ছে?

ইডির আইনজীবী আরও জানান, কেজরিওয়াল তদন্তে অসহযোগিতা করছেন। সেই কারণেই তদন্তের গতি ধীর রয়েছে। তদন্তের স্বার্থে ছ’মাসে তাঁকে ন’বার সমন পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি এক বারও হাজিরা দেননি। এখনই কেজরিওয়ালকে জামিন দেওয়ার প্রয়োজন নেই। 

আদালতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। তিনি জানান, দেশে সাধারণ নির্বাচন চলছে। দলের প্রচারে কেজরিওয়ালকে প্রয়োজন। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা কেজরিওয়ালের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার।

বিচারপতি খান্নার বেঞ্চ জানায়, নির্বাচন চলছে। তাই জামিন নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। কেজরিওয়ালকে জামিন দিলেও আদালত চায় না এই সময় তিনি কোনও সরকারি কাজে যুক্ত থাকুন। কোনও ফাইলে সই করতে পারবেন না তিনি। এই অবস্থায় তিনি সরকারি কাজে যুক্ত হলে বিতর্কের সৃষ্টি হতে পারে। আমরা সরকারের কাজে হস্তক্ষেপ করতে চাই না। নির্বাচন না হলে এই জামিনের বিষয় বিবেচনা করা হত না।

কেজরীওয়ালের আইনজীবী এই শর্তে রাজি হয়ে আদালতে জানান, লেফটেন্যান্ট গর্ভনর না বললে কোনও সরকারি কাজ করবেন না তাঁর মক্কেল।

সব পক্ষের বক্তব্য শুনলেও মঙ্গলবার এই মামলায় কোনও নির্দেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট।

জামিন পেলেও কোনও সরকারি কাজ করতে পারবেন না, কেজরীকে বলল সুপ্রিম কোর্ট, তদন্তের ধীর গতি নিয়েও প্রশ্ন
Live Blog: ৫টা পর্যন্ত রাজ্যে ভোটদানের হার ৭৩.৯৩ শতাংশ, সবথেকে বেশি মুর্শিদাবাদে

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in