অষ্টম দিনে পড়ল মেডিকেল পড়ুয়াদের অনশন। তারা এখনও অনড় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের জন্য। এবার সেই অনশন মঞ্চে যোগ দিলেন মেডিকেল পড়ুয়ায়দের অভিভাবকেরা। তবে তাঁদের অনশন প্রতীকী।
মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য গিয়েছিলেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে। কিন্তু তাতে কোনো সুরাহা হয়নি। পড়ুয়াদের আন্দোলনকে সমর্থন জানাতে অভিনব উদ্যোগ অভিভাবকদের। বৃহস্পতিবার মেডিকেল কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সকাল ৯টা থেকে প্রতীকী অনশনে বসেছেন অভিভাবকরা। রাত ৯টা পর্যন্ত অনশন চলবে। এরপরেও যদি দাবি পূরণ না হয় তাহলে শনিবার প্রশাসনিক ভবনের সামনে নাগরিক কনভেনশন করা হবে বলেই পড়ুয়ারা জানাচ্ছে।
প্রতীকী অনশনে অংশগ্রহণকারী এক অভিভাবক বলেন, ‘ভোট গণতান্ত্রিক অধিকার। তাই আমি সন্তানদের সমর্থনে আন্দোলনে বসেছি’। তাঁরা একটি ব্যানার নিয়ে প্রতীকী অনশন করছেন। তাতে লেখা রয়েছে, ‘আমাদের সন্তানরা ৭ দিন আজ অনাহারে! আমরা অভিভাবক হিসেবে, আমাদের সন্তানদের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছি’।
উল্লেখ্য, সমস্যার সমাধানে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ভবনে বৈঠক ডাকে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর। বৈঠকে স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম, স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক, মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, সুপার, ডিন এবং আন্দোলনরত পড়ুয়াদের চারজন প্রতিনিধির উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু সেই বৈঠক শেষ পর্যন্ত হয়নি।
স্বাস্থ্যসচিব জানান, যেহেতু স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন তাই বৈঠক বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ছাত্ররা ভেবেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মেঘালয় থেকে ফিরে তাদের সাথে বোইঠক করবেন। কিন্তু সেটাও হয়নি। কলেজ কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানায়, আগামী ২২ ডিসেম্বর কোনওভাবেই নির্বাচন করা সম্ভব না।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন