অবিলম্বে চাকরিতে নিয়োগের আবেদন জানিয়ে মাত্র একদিনে আদালতে মামলা করল ১৪০০ জন চাকরিপ্রার্থী। সকলেই ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
কলকাতা হাইকোর্টে এই ধরণের মামলা কার্যত বেনজির বলা চলে। শুক্রবার টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগের দাবিতে আদালতে মামলা দায়ের করেন। তাঁদের অভিযোগ, পরীক্ষা দিয়ে মেধাতালিকাতে স্থান করে নিলেও আজও নিয়োগপত্র হাতে পাননি। আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, ২৮০০ চাকরিপ্রার্থী আসেন মামলা জন্য। তাঁদের মধ্যে ১৪০০ জন অবিলম্বে নিয়োগের আর্জি জানিয়ে মামলা দায়ের করেছেন। বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের বেঞ্চে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, পর্ষদ কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছিল বর্তমানে ৩৯২৯টি শূন্যপদ রয়েছে। তারপরেই বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি নির্দেশ দেন শূন্যপদ পূরণের। মেধাতালিকা অনুযায়ী স্বচ্ছভাবে ৭ নভেম্বরের মধ্যে সমস্ত নিয়োগ সম্পন্ন করতে হবে। নিয়োগের সমস্ত নথি ১১ নভেম্বরের মধ্যে আদালতে জানাতে হবে বলেও বিচারপতি নির্দেশ দেন। কিন্তু এখনও তা হয়নি। সেই জন্যই চাকরিপ্রার্থীরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
অন্যদিকে, আজ থেকে শুরু হয়েছে টেট পরীক্ষা দেওয়ার আবেদন। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের টেট বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে ফের মামলা হল কলকাতা হাইকোর্টে। টেটে বসার নিয়মাবলী প্রকাশ করে পর্ষদ। তাতে দেখা যায় ২০২০-২২ শিক্ষাবর্ষে ডি.এল.এড এবং ডি.এড প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন বা ডি.এল.এড, ডি.এড, বি.এড প্রশিক্ষণের পার্ট-১ পরীক্ষায় বসেছেন তাঁরা সকলেই টেট দিতে পারবেন।
মামলাকারীদের অভিযোগ, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যোগ্য প্রার্থী থাকতেও কেন প্রশিক্ষণরত প্রার্থীদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হচ্ছে। এর আগে বি.এড ডিগ্রি প্রাপ্তদের পরীক্ষায় বসার আপত্তি জানিয়ে আদালতে মামলা করেন ডি.এল.এড ডিগ্রি ধারী প্রার্থীরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন