সোমবার আইকোর চিটফান্ড দুর্নীতি কান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠায় সিবিআই। এই নিয়ে তিনবার সিবিআই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তলব করে। যদিও এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, তিনি একজন সিনিয়র সিটিজেন এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনের কাজে ব্যস্ত আছেন। তাই তাঁর পক্ষে এই সময় সিজিও কমপ্লেক্স যাওয়া সম্ভব নয়।
তিনি আরও জানান, পরিবর্তে সিবিআই যদি তাঁর বাড়িতে আসে তাহলে খুব ভালো হয়। সেই মতো সিবিআই অফিসাররা এদিন সকালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে না গিয়ে সরাসরি তাঁর দপ্তর শিল্প ভবন-এ চলে যান। যেখানে প্রায় দু'ঘণ্টা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
সিবিআই আধিকারিকরা চলে যাওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, এদিন সিবিআই আধিকারিকরা তাঁর শিল্প দপ্তরে আসেন এবং সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎকার হয়।
সেই সঙ্গে তিনি জানান, গত ৬ তারিখ সিবিআই তাঁকে একটি চিঠি পাঠায় এবং ডেকে পাঠায়। কিন্তু তিনি ৮ তারিখে তাদের একটি লিখিত চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দেন তাঁর পক্ষে এই সময় যাওয়া সম্ভব নয়। যদি তারা বাড়িতে আসেন তাহলে ভালো হয়। সেইমতো এদিন সিবিআই অফিসাররা বাড়িতে না গিয়ে শিল্প ভবনে গিয়ে তার সঙ্গে বেশ খানিকক্ষণ কথা বলেন। এই কথাবার্তাকে সৌজন্যমূলক বলে আখ্যা দিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
এরপরেই তিনি জানান, আইকোরের সভায় তিনি কেন গিয়েছিলেন এবং তাদের সঙ্গে কী যোগাযোগ ছিল সেই প্রসঙ্গে সিবিআই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন গত ২০১১ সালে তিনি শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং পরিষদীয় মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার তিন মাসের মধ্যেই তাঁর কাছে এই সভায় যোগদানের জন্য আবেদন আসে এবং তিনি সেখানে যান। ব্যাস এটুকুই। তার পক্ষে এর থেকে বেশি কিছু সংস্থার সম্পর্কে জানা সম্ভব হয়নি। তার কারণ এইরকম ভাবে অনেকেই তাঁর কাছে কর্মসংস্থান সম্পর্কে আসেন এবং তিনি সেখানে যান। রাজ্যের শিল্প সংস্থা এবং কর্মসংস্থানের উদ্যোগেই তিনি সেখানে গিয়েছিলেন বলে সিবিআই অফিসারদের জানিয়েছেন। তিনি আশা রাখেন তাঁর কথায় যথেষ্ট সন্তুষ্ট হয়েছে সিবিআই।
এই প্রসঙ্গে পার্থ বাবু আরও জানিয়েছেন, যে ঘন্টা দুই তাঁর সঙ্গে কথাবার্তা হয়েছে সেখানে তাঁকে কোনোরকম ভাবে মানসিক হ্যারাসমেন্ট করা হয়নি। তিনি আরও জানান, পরবর্তী সময়ে যদি সিবিআই-এর পক্ষ থেকে কোনো সাহায্যের আবেদন করা হয় তিনি আবারও সহযোগিতা করবেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন