পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে না ভাঙড়ের ৮২ জন আইএসএফ প্রার্থী। একক বেঞ্চের নির্দেশ খারিজ করে দিয়ে মঙ্গলবার এমন নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ১৫ দিন পর মামলার পরবর্তী শুনানির সম্ভাবনা। আগামী ৮ জুলাই শনিবার রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন।
মনোনয়ন জমা দিলেও নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে নাম 'উধাও' হয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলে আদালতে যান ৮২ জন আইএসএফ প্রার্থী। তাঁদেরকে নির্বাচনে লড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। মঙ্গলবার বিচারপতি সিনহার নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, এখনই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না ওই আইএসএফ প্রার্থীরা। সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশের ওপর ১৫ দিনের স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।
আইএসএফ প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনের তালিকায় নিজেদের নাম দেখতে না পাওয়ায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার একক বেঞ্চের দ্বারস্থ হন। পাল্টা অমৃতা সিনহার নির্দেশকে চ্যলেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় নির্বাচন কমিশন। এই ৮২ জন যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না তা এক প্রকার নিশ্চিত। কারণ ৩ দিন পর নির্বাচন এবং ১৫ দিনের আগে মামলার শুনানি হবে না।
প্রসঙ্গত, সোমবারও একইভাবে হাইকোর্টের ডিভিশন নির্দেশে ভাঙড়ের ১৯ জন সিপিআইএম প্রার্থী পঞ্চায়েত নির্বাচনের লড়াই থেকে বাদ পড়েন। তাঁদেরও অভিযোগ ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরেও রাজ্য নির্বাচন কমশনের ওয়েবসাইটের প্রার্থী তালিকা থেকে ‘হাওয়া’ হয়ে যায় তাঁদের নাম। ‘বিরোধীশূন্য’ অবস্থায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৯টি আসনেই জিতে যান রাজ্যের শাসকদলের প্রার্থীরা। তাঁরা বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিঙ্গেল বেঞ্চের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি অমৃতা সিং আবেদন শুনে কমিশনকে ওই ১৯ জনের নাম প্রার্থী তালিকায় যোগ করে তাদের নতুন করে নির্বাচনে লড়াইয়ের সুযোগ দিতে বলেছিলেন। গতকাল সেই নির্দেশ দেয় খারিজ করে দেয় বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অপূর্ব সিনহার ডিভিশন বেঞ্চ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন