CPIM: বামেদের 'লালবাজার অভিযান' রুখতে ৯ ফুটের ব্যারিকেড! পুলিশের গার্ডরেল পরিণত হল সভাস্থলে

People's Reporter: বামেদের লালবাজার অভিযান রুখতে পুলিশ ৯ ফুটের লোহার ব্যারিকেড দেয় বেন্টিঙ্ক স্ট্রীটে। সেই ব্যারিকেডের উপর উঠে দলীয় পতাকা হাতে প্রতিবাদ দেখান সিপিআইএম কর্মী-সমর্থকরা।
লালবাজার অভিযানে বামেরা
লালবাজার অভিযানে বামেরাছবি - নিজস্ব
Published on

কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের অপসারণের দাবিতে লালবাজার অভিযান করে বামেরা। কিন্তু লালবাজারের কিছুটা আগেই, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে আটকে দেওয়া হয় বাম কর্মী-সমর্থকদের। সেখানেই সভার আয়োজন করে বক্তৃতা দিতে শুরু করেন নেতৃত্বরা।

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে এর আগে বিনীত গোয়েলের অপসারণ চেয়ে জুনিয়র চিকিৎসকরা লালবাজার অভিযান করেছিলেন। এবার লালবাজার অভিযান করল বামেরা। বামেদের লালবাজার অভিযান রুখতে পুলিশ ৯ ফুটের লোহার ব্যারিকেড দেয় বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে। সেই ব্যারিকেডের উপর উঠে দলীয় পতাকা হাতে প্রতিবাদ দেখান সিপিআইএম কর্মী-সমর্থকরা। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টাও করেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, শান্তিপূর্ণ মিছিলকে কেন আটকাবে পুলিশ?

অন্যদিকে, বেশ কয়েকজন বাম সমর্থক দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে লালবাজারের একদম কাছে পৌঁছে যান। সেখানে গিয়ে তাঁরা পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের দাবি জানান। পুলিশের সাথে বচসা হয় তাঁদের। ১৪ জনকে আটক করে পুলিশ।

প্রতিবাদে বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটেই অবস্থানে বসেন বাম কর্মীরা। সেখানেই বক্তৃতা দেন মীনাক্ষী মুখার্জি, মহম্মদ সেলিম সহ অনেক বাম নেতৃত্ব। বিনীত গোয়েলকে পদ থেকে সরানোর দাবিতে মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে লেখা একটি চিঠিও পাঠ করা হয়।

পুলিশের তরফ থেকেও নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। লাগাতার মাইকিং করছে কলকাতা পুলিশ। প্রস্তুত রাখা হয়েছে জল কামান, দমকলের গাড়ি, র‍্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স, কাঁদানে গ্যাস।

সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, "১৪ তারিখ রাতে আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় আমাদের অনেক কর্মী-সমর্থককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আমরা অনেকের পরিচয় জানানোর পরেও তাঁদের গ্রেফতার করা হয়নি। পুলিশ কেন সে'দিন রাতে আরজি করে ভাঙচুরে সাহায্য করেছিল? এই দায়িত্ব কার? বিনীত গোয়েল কেন নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছেন? এই সমস্ত কিছুর কারণেই ওনার অপসারণের দাবি জানাচ্ছি। এখন পুলিশ কমিশনারকে টেনে হিঁচড়ে নামাবো। তারপর ডিজি পুলিশকে, তারপর পুলিশমন্ত্রীকে।"

সুজন চক্রবর্তী বলেন, "সবাই দাবি করছেন বিনীত গোয়েল অপরাধী। ১৪ তারিখ রাতে দুষ্কৃতিদের রুখতে পারেননি। উল্টে সাংবাদিকদের রক্তচক্ষু দেখিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী আবার আজকে বলেছেন স্বাস্থ্যদপ্তরে নাকি বামেরা ঘুঘুর বাসা রেখে গেছে। তা ভাঙছেন না কেন সেই ঘুঘুর বাসা?"

সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, "প্রথম দিন থেকে অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা করেছে এই কলকাতা পুলিশ। কলকাতার পুলিশ কমিশনার নিজের দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। সেই অপদার্থ সিপি বিনীত গোয়েলের পদত্যাগে আমরা এসেছি।"

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in