রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার ভূমিকা নিয়ে প্রথম থেকেই প্রশ্ন তুলছিল বিরোধী দলগুলি। এবার তাঁর নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন নবেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় নামের এক আইনজীবী।
বিরোধী থেকে শুরু করে রাজ্যের রাজ্যপাল - নির্বাচন কমিশনারের কাজে রীতিমতো অসন্তুষ্ট সকলেই। রাজীব সিনহার জয়েনিং লেটার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সোমবার আইনজীবী নবেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রাজীব সিনহার নিয়োগের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। সব পক্ষই যাতে মামলায় অংশগ্রহণ করতে পারে তার জন্য নোটিশ দেওয়ারও নির্দেশ দেন। ৩০ জুন অর্থাৎ শুক্রবার মামলাটির শুনানি হতে পারে।
গত সপ্তাহে রাজ্যপাল নির্বাচন কমিশনারের জয়েনিং লেটার সহ ফাইল রাজ্য সচিবালয়ে ফেরত পাঠিয়েছেন। রাজভবন সূত্রে খবর, মনোনয়ন পর্বে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে অশান্তির খবর আসছিল। সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট নিয়ে আলোচনার জন্য গত ১৭ জুন, শনিবার রাজীব সিনহাকে রাজভবনে ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু মনোনয়ন পর্বে ব্যস্ত থাকার কারণ দেখিয়ে সেই বৈঠকে উপস্থিত হননি রাজীব সিনহা। এই কারণেই গত বুধবার রাতে সিনহার জয়েনিং লেটার এবং সংশ্লিষ্ট ফাইল গ্রহণ করতে অস্বীকার করে, সেগুলিকে রাজ্য সচিবালয়ে ফেরত পাঠান রাজ্যপাল।
শুধু তাই নয় হাইকোর্টেও একাধিকবার ভর্ৎসনার মুখে পড়েছেন রাজীব সিনহা। পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, ‘‘বলতে বাধ্য হচ্ছি এত কিছুর পরে কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ থাকছে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে, কমিশনারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করতে হচ্ছে। ২০১৩ সালে এই কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গিয়েছিল। আমরা বুঝতে পারছি না সেই কমিশনের স্বতন্ত্রটার কী হল? দায়িত্ব পালন করতে না পারলে পদত্যাগ করুন। রাজ্যপাল নতুন কমিশনার নিয়োগ করবেনি।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন