বাংলার রাজনৈতিক নেতাদের আয়ের সাথে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে ইতিমধ্যেই মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। এরই মাঝে এবার জাতীয় নেতাদেরও সম্পত্তি খতিয়ে দেখার আবেদন জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল আদালতে।
বৃহস্পতিবার, রাজ্য ও দেশের ২৪ জন নেতা-মন্ত্রীর সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়েরের অনুমতি চান আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে ওই মামলা করার আর্জি জানানো হয়েছিল। তিনি মামলাটি দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। আইনজীবী আদালতে আবেদন করেছেন, হিসাব না মিললে যেন নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
আদালত সূত্রের খবর, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্মৃতি ইরানি এবং ধর্মেন্দ্র প্রধানের নাম রয়েছে নতুন মামলায়। এছাড়া বাংলা থেকে নাম রয়েছে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ রূপা গাঙ্গুলী এবং সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর।
সম্প্রতি বাংলার শাসক দলের ১৯ জন নেতা-মন্ত্রীর সম্পত্তিবৃদ্ধি নিয়ে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সেই তালিকায় ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, ব্রাত্য বসু, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন সিং, জাভেদ খান, বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরা।
এই মামলার জেরে গত ১৮ আগস্ট বিরোধীদের বিরুদ্ধে পাল্টা জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে তৃণমূল। যেখানে ১৫ জন বিরোধী ছাড়াও দু’জন তৃণমূল সাংসদের সম্পত্তির হিসেব খতিয়ে দেখার আর্জি জানানো হয়েছিল হাইকোর্টে। তৃণমূলেরই দুই সাংসদ শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারী ছাড়াও সেই তালিকায় নাম ছিল বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, সৌমিত্র খাঁ, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল, শমীক ভট্টাচার্য, সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, তন্ময় ভট্টাচার্য এবং কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নানের।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন