নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির নথিতে উল্লেখ করা হলো তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জির নাম। কালীঘাটের কাকু তথা সুজয় ভদ্রের ঘনিষ্ঠ হিসেবেই ওই নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে অভিষেকের নাম। তবে এখনই এবিষয়ে পদক্ষেপ নেবে না ইডি। এমনটাই সূত্রের খবর।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় 'কালীঘাটের কাকু' ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের গ্রেফতারির আগে থেকেই তাঁর সাথে অভিষেক ব্যানার্জির যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছিল। একাধিক সংবাদমাধ্যমের সামনেই তিনি বলেছিলেন, তাঁর 'সাহেব' অভিষেক ব্যানার্জি। এবং তিনি কোনো দুর্নীতির সাথে যুক্ত নন। এমনকি তাঁর 'সাহেব'কে ধরার ক্ষমতা কারুর নেই। তিনি বহুদিন অভিষেকের সংস্থায় কাজ করেছেন। এবার তাঁর সাথেই নিয়োগ দুর্নীতিতে উঠে এলো অভিষেকের নাম।
ইডি সূত্রে খবর, ওই নথিতে অভিষেক ব্যানার্জি ও কালীঘাটের কাকু ছাড়াও রয়েছে, কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল ও মানিক ভট্টাচার্যর নাম। নথিতে লেখা রয়েছে, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র তৎকালীন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর কাছে অভিষেক ব্যানার্জির বার্তা প্রদান করতেন। এছাড়া হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমের মানিকের সাথে যোগাযোগ করতেন কালীঘাটের কাকু।
কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে, নথিতে অভিষেক ব্যানার্জির নাম থাকলেও তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। তদন্ত চলছে। তিনি দুর্নীতির সাথে কতটা যুক্ত তার জন্য আরও তথ্য প্রমাণ লাগবে। ফলে তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে এই মুহূর্তে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না।
তবে কালীঘাটের কাকু মানিককে ঠিক কী বার্তা দিতেন তা জানা যায়নি। রাজনৈতিক কিছু নাকি দুর্নীতির সাথে যোগ থাকা আর্থিক বিষয় তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ‘কালীঘাটের কাকু’র কথা প্রথম প্রকাশ্যে আনেন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত তাপস মণ্ডল। এরপর অন্য এক ধৃত কুন্তল ঘোষের মুখেও তাঁর নাম শোনা যায়। আর এক ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও সুজয়কৃষ্ণের লেনদেনের কথা তদন্তের সময় উঠে আসে। গত ৩০ মে ১১ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন