দিল্লি হাইকোর্টে খারিজ হয়ে গেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্ত্রী রুজিরার স্থগিতাদেশ মামলা। মঙ্গলবার আদালতের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় ইডির সমনের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়া যাবে না। পাশাপাশি অভিষেক-রুজিরা এবং ইডি - অর্থাৎ দু'পক্ষকেই হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। আগামী তিন দিনের মধ্যে হলফনামা জমা দিতে হবে তাঁদের। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী সোমবার।
উল্লেখ্য, গত শনিবার কয়লা পাচার কাণ্ডে ইডির সমনের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের অভিযোগ কয়লা কাণ্ডের তদন্তে বারবার দিল্লি তলব করা হচ্ছে তাঁদের। তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করা সত্ত্বেও তাঁদের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে ইচ্ছাকৃতভাবে এটা করা হচ্ছে। দিল্লি নয় কলকাতায় জেরা করা হোক এই আবেদন জানিয়ে ইডির সমনের ওপর স্থগিতাদেশ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেই আবেদনে আদালতে ধাক্কা খেলেন তাঁরা।
এদিন অভিষেক ও রুজিরার পক্ষ থেকে দুঁদে আইনজীবী কপিল সিব্বল আদালতে সওয়াল করে বলেন, তাঁরা দু'জনই কলকাতার বাসিন্দা। তাই এই বিষয়ে যে কোনও অভিযোগ ও তদন্ত বাংলার আইনব্যবস্থার আওতায় পড়ে। তাই তাঁদের কলকাতায় হাজিরার বন্দোবস্ত করা হোক। কিন্তু এদিন সেই আরজি সরাসরি নাকচ করে দেয় দিল্লি হাই কোর্ট।
উল্লেখ্য, কয়লাকাণ্ডে এর আগেও একাধিকবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে সমন পাঠিয়েছে ইডি। একবার হাজিরাও দিয়েছেন অভিষেক। টানা নয় ঘন্টা ধরে জেরা করা হয়েছিল তাঁকে। তারপরও ফের সমন পাঠানো হয় অভিষেককে। ব্যক্তিগত সমস্যার কথা জানিয়ে কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেছিলেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে ইডির যুক্তি, দিল্লিতে থাকা সত্ত্বেও সমন এড়িয়ে গিয়েছেন রুজিরা। তাছাড়া সংসদে হাজিরা দেওয়ার জন্য দিল্লি যাতায়াত করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এখানে হাজিরা দিতে সমস্যা হওয়ার কথা নয় তাঁর।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন