অভিষেক ব্যানার্জি ও তাঁর পত্নী রুজিরা ব্যানার্জির বিদেশ যাত্রা নিয়ে আদালতে প্রশ্নের মুখে ইডি। সোমবার দেশের শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, তৃণমূল সাংসদের বিদেশযাত্রা আটকানো উচিত হবে না। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টে বিদেশযাত্রার আবেদন ঝুলেই রয়েছে অভিষেকের।
সোমবার রুজিরা ব্যানার্জি ইডির লুক আউট নোটিশের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন। তাঁর হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি বলেন, যতবার রুজিরা ব্যানার্জিকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয় ততবার তিনি হাজিরা দিয়েছিলেন। সেক্ষেত্রে লুক আউট নোটিশ জারি করার কোনো যুক্তি নেই।
বিচারপতি সঞ্জয় কিসান কাউলের বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। বিচারপতি ইডির উদ্দেশ্যে বলেন, তদন্তের প্রয়োজনে একাধিকবার সমন করা যেতে পারে। সুপ্রিম কোর্টের পূর্বের নির্দেশেই তদন্ত চলুক অসুবিধা নেই। লুক আউট নোটিশ জারি করা কি উচিত হয়েছে?
ইডি আধিকারিকদের দাবি, তাঁরা শীর্ষ আধিকারিকদের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে জানাবেন। আগামী শুক্রবার আদালতে জবাবদিহি করতে হবে ইডিকে। ওই দিনই মামলার পরবর্তী শুনানি।
অন্যদিকে, চোখের চিকিৎসার প্রয়োজনে ২৪ দিনের জন্য আমেরিকা যাওয়ার জন্য হাইকোর্টে আর্জি জানিয়েছেন অভিষেক ব্যানার্জি। সূত্রের খবর, অভিষেক জানিয়েছেন আগামী ৮ অগাস্ট আমেরিকাতে চিকিৎসকের অ্যাপয়েন্টমেন্ট রয়েছে। তাঁকে যেতেই হবে। ইডিকেও নাকি পুরো বিষয়টি জানিয়েছিলেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফ থেকে কোনো সদুত্তর না পাওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
আজ বিকেলে মামলাটি বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তবে বিচারপতি জানান তিনি মামলাটি শুনবেন না। তিনি মামলাটি প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। সাথে বলেন বিদেশ যাওয়া নিয়ে অভিষেক ব্যানার্জির হলফনামা জমা নেবেন না তিনি।
এছাড়া কয়লা পাচার মামলায় বিদেশযাত্রা নিয়ে সুপ্রিমকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। তাতে অবশ্য আপাতত স্বস্তিতে তৃণমূল সাংসদ। আবার কুন্তল ঘোষের চিঠি প্রসঙ্গে ইডির জিজ্ঞাসাবাদ মামলা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যও হাইকোর্টে আবেদন করেছেন তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন